সিলেটের ওসমানীনগরে বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পিয়াজের মূল্য। গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কেজিতে ৭০-৮০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা দর বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সকল শ্রেণি- পেশার মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল উপজেলার ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র গোয়ালাবাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে বার্মার প্রতি কেজি ২০০ টাকা, মিশরীয় ১৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপর দিকে খুচরা বাজারে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পণ্য তালিকায় পিয়াজের মূল্য লেখা পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিকেজি পিয়াজ ১২৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে বিকালে দোকানে এই পিয়াজ বিনা কারণেই ডাবল সেঞ্চুরি করে। অভিযোগ রয়েছে বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দরে পিয়াজ বিক্রি করছেন। এমন পরিস্থিতির চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। অনেকে পিয়াজ খাওয়া ছেড়েও দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার আশিক বাণিজ্যালয়ের পাইকারি মূল্য তালিকায় দেখা যায় বার্মা থেকে আনা প্রতিকেজি ১৩৮ টাকা, মিশরীয় ১২৫ টাকা এবং ভারতীয় এলসি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়। একই দিন গোয়ালাবাজারের রায় ট্রেডার্সে ভিন্ন দরে পিয়াজ বিক্রি করতে দেখা যায়। এই প্রতিষ্ঠানসহ বাজারের অনেক প্রতিষ্ঠানের পণ্য তালিকায় পিয়াজের মূল্য লেখা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, ১২০ টাকা দরে ক্রয় করা পিয়াজ গতকাল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। পাইকারি দোকান গুলোতে দর বাড়ার কারণে তারাও দর বৃদ্ধি করেছেন বলে তারা জানান। স্থানীয় আতাউর রহমান বলেন, পিয়াজ ক্রয়ের ক্ষমতা না থাকায় ক্রয় করা ছেড়ে দিয়েছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি ভর্তুকি দিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রির ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএ বলেন, অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করার কোনো বিধান নেই। অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।