× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফরিদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, ভাঙচুর

দেশ বিদেশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
১৬ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার

ফরিদপুরের নগরকান্দা-সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। এরই প্রেক্ষিতে আজকের সম্মেলন স্থগিত করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এর প্রতিবাদে এক পক্ষ মিছিল নিয়ে বের হলে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। সংঘর্ষে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫০ জন। এ সময় সালথা বাজার এলাকার বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বিকালে। খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব এসে টিআর শেল ও রবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরেজমিন জানা গেছে, উপজেলা দুটির আওয়ামী লীগের সম্মেলন ছিল আজ শনিবার নগরকান্দার কেদালিয়া স্কুল মাঠে। কিন্তু সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর দুই ছেলের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে সেখানে তৈরি হয় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি।
এ অবস্থায় সম্মেলন স্থগিত করা হয়। এর প্রতিবাদে উপনেতার ছোট ছেলে লাবুর সমর্থক সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতব্বর সমর্থকদের নিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গেলে উপনেতার বড় ছেলে বাবলুর সমর্থকদের উস্কানিমূলক বক্তব্যে জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সংঘর্ষটি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে দু’পক্ষের অনুসারীরা বল্লম, সড়কি, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় লাবুর পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতব্বর, উপনেতার ব্যক্তিগত সচিব সফিউদ্দিন, গোট্টির চেয়ারম্যান লাভলু, উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অহিদ মাতব্বরসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। বাবলুর পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির চৌধুরীসহ তিন শতাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সংঘর্ষ হয়। সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতব্বর জানান, শনিবার আমাদের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল যা ষড়যন্ত্রকারীরা বন্ধ করে দিয়েছে। আমি সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়মন আকবর বাবলুর বহিষ্কার দাবি করছি। এ ঘটনায় অপরপক্ষের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির বলেন, আমি সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ায় এ সংঘর্ষের কারণ। আমি এর প্রতিবাদ জানাই। সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও র‌্যাব রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকা শান্ত আছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে তিনি জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর