× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাবি শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধর / তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

অনলাইন

রাবি প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ১৬, ২০১৯, শনিবার, ১:২৯ পূর্বাহ্ন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধরের অভিযোগে তিন দফা  দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় তারা তিন দফা দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ রাখার ঘোষণা দেন।

তাদের দাবিগুলো হলো- অনতিবিলম্বে মারধরকারী নাহিদ ও আসিফসহ যারা হত্যা চেষ্টায় জড়িত ছিল তাদের গ্রেপ্তার ও স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার, হল প্রশাসন নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ, আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে।

জানা যায়, মারধরের শিকার সোহরাব হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক ছাত্র। সোহরাবের মাথা ও হাতে গুরুতর জখম হয়েছে। বর্তমানে সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। তারা দুইজনই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।

হল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আসিফ লাকের নেতৃতে কয়েজন ছাত্রলীগ কর্মী সোহরাবকে ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে হলের তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নাম্বার কক্ষে নিয়ে যায়।
সেখানে তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন আসিফ লাক ও হুমায়ন কবির নাহিদ। একপর্যায়ে তারা দুইজন মিলে সোহরাবকে রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। সোহরাব রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করেন। পরে সোহরাবের বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ও পরে রামেকে ভর্তি করেন।

সোহরাবের বন্ধু তনয় জানান, সোহরাবের বাম হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে দুই জায়গায় ভেঙে গেছে। চিকিৎসক জানিয়েছে মাথার তিন জায়গায় মোট ১৫ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার পায়েও গুরুতর যখম হয়েছে। এক্সরের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে পা ভেঙ্গেছে কি না জানা যাবে।

এ ব্যাপারে শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জুলকার নায়েন বলেন, ‘রাতে আমাকে কেউ ঘটনাটি জানায়নি। তবে শনিবার সকালে হলে এসে ওই কক্ষে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। তবে অভিযুক্ত দুইজনকে হলে পাইনি। এ ব্যাপারে তদন্তের জন্য হল প্রশাসন থেকে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।’

অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী আসিফ লাক এবং হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রক্টর মো. লুৎফর রহমান জানান, তিনি ঢাকায় আছেন। তবে এই ঘটনার ব্যাপারে খোঁজখবর রাখছেন।
সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমি বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। তাদের অভিযোগ ও দাবি-দাওয়া শুনে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর