সেনাবাহিনীর চাপের মুখে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের পদত্যাগের পর আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটি। মোরালেসের সমর্থকদের চলমান আন্দোলন দেশটিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে শুক্রবার দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার দাবি করেছে, লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ কিউবার উস্কানিতেই উত্তাল হয়ে উঠছে বলিভিয়া। এ জন্য বলিভিয়ায় নিযুক্ত কিউবার চিকিৎসককেও অভিযুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে বলিভিয়া থেকে প্রত্যাহার করা হয় ভেনিজুয়েলার সকল কর্মকর্তাকেও। বলিভিয়ার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারেন লংগ্যারিক জানিয়েছেন, কিউবা তার দেশের ৭২৫ নাগরিককে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই চিকিৎসক। ভেনিজুয়েলাকেও একই কারণে তাদের কূটনীতিকদের ফিরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দেশটির রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। পরিবর্তন এসেছে দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতেও। এক দশকের প্রগতিশীল শাসন শেষে বর্তমানে দেশটির ক্ষমতায় আছে রক্ষণশীল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ভেনিজুয়েলা ও কিউবা ছিল বলিভিয়ার সাবেক বামপন্থি প্রেসিডেন্ট মোরালেসের প্রধান মিত্র। ২০০৬ সালে তিনি দেশটির প্রথম আদিবাসী যিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসেছিলেন। গত মাসে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন। তবে একে পশ্চিমা দেশগুলো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করে। এক পর্যায়ে দেশের সেনাবাহিনীর চাপের মুখে পদত্যাগ করেন মোরালেস। বর্তমানে তিনি মেক্সিকোতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন।