কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এবার নরেন্দ্র মোদি সরকার আরেকবার নাগরিক সংশোধনী বিল পাস করানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য এই বিল তৈরি হয়েছে। তবে আগের বার সংসদে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় এই বিল পাস করাতে পারেনি সরকার। তবে এবার ফের সেই বিল পাস করানোর জন্য সংসদের আগামী শীতকালীন অধিবেশনে এটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে তালিকায় রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী সোমবার থেকে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সংসদের গত অধিবেশনে বিলটি পেশ করা হলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এর প্রবল সমালোচনা করেছিলেন। বিরোধীদের অভিযোগ, ধর্মীয় ভিত্তিতে বিলটি বৈষম্যমূলক। নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন করে আনা এই বিলে বলা হয়েছে, ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, জৈন, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পারসিদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে।
২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সব অমুসলিম ভারতে এসেছেন শুধু তাদেরই নাগরিকত্ব দেয়া হবে।
তবে বিলটির বিরুদ্ধে: আসাম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো থেকে প্রবল প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশেও সংখ্যালঘুরা এই বিলের প্রতিক্রিয়ায় পরিস্থিতি ঘোরালো হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বিজেপি হিন্দু ভোটকে সংহত করার লক্ষ্যে অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। কিছুদিন ধরেই বিজেপির শীর্ষ নেতারা বলে আসছেন, এনআরসি চালু করার আগে সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করাবে।