বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, জগন্নাথ হবে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সর্বাধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়। এই জন্য প্রায় ২শ’ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ক্যাম্পাসে থাকবে ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন আবাসিক হল, শিক্ষকদের জন্য আবাসিক ভবন, খেলার মাঠ, প্রশাসনিক ভবন, লেক, ট্রাম ও বিভিন্ন গাছপালায় ভরা থাকবে । ট্রাম দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা যেন এক হল থেকে অন্য হলে সহজে যাতায়াত করতে পারে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য প্রায় ৮০ ফুট একটি রাস্তা নির্মাণ করা হবে। ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের জন্য সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এরমধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা প্রথমে মাটি ভরাটের কাজে ব্যয় করা হবে এবং বাকি ১ হাজার কোটি টাকা অন্যান্য স্ট্রাকচার নির্মাণের কাজে ব্যয় করা হবে। তিনি গতকাল দুপুর দেড়টায় কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের মুজাহিদ নগর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের মাঝে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ প্রমুখ। ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খানের সভাপিতত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ, জিনজিরা ইউপি চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন সাকু, তেঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো. লাট মিয়া প্রমুখ। জগন্নাথ বিশ্ব বিদ্যালয়ের জন্য কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর ও মুজাহিদনগর এলাকায় ৮৯৯ কোটি ৮০ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮৩২ টাকায় ১৮৮ একর ৬০ শতাং জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সাড়ে ৫শ’ জমির মালিকের মধ্যে আজকে ৪০ জন জমির মালিকের মাঝে ৫৯ কোটি ৯৭ লাখ ২৭ হাজার ৯৭৫ টাকার চেক বিতরণ করা হয়। বাকি জমির মালিকদের আগামী একমাসের মধ্যে অধিগ্রহণের চেক বিতরণ করা হবে।