রাজধানীর বাংলামোটরে কৃষ্ণা রায়কে চাপা দেয়া বাসের সহকারী বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। কৃষ্ণা রায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) হিসাব বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক। আর বাচ্চু মিয়া ময়মনসিংহের গৌরিপুরের ভালুকাপুর গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক ছিল। গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে পিবিআই’র একটি টিম শুক্রবার ময়মনসিংহ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে পহেলা সেপ্টেম্বর পিবিআই পরিদর্শক জুয়েল মিয়ার নেতৃত্বে ঢাকার মিরপুরের কাজীপাড়া থেকে ওই বাসের চালক মোরশেদকে গ্রেপ্তার করেছিলো। পিবিআই’র পুলিশ সুপার বশির আহমেদ জানান, ২৭শে আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে কৃষ্ণা রায় বাংলামোটর ওভার ব্রিজের নিচে এমএইচকে ভবনের পশ্চিম পাশের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে কাওরান বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন।
ওই সময় কাওরান বাজার থেকে আসা ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের ঢাকা মেট্রো ব-১১-৯১৪৫ নম্বরের একটি বেপরোয়া গতির বাস রাস্তা থেকে ফুটপাতের ওপর উঠে চাপা দেয় কৃষ্ণা রায়কে। এতে কৃষ্ণা মারাত্বকভাবে আহত হন।
তার বাম পা হাটুর নিচ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া মাথাসহ শরীরের আরও বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান। এসময় পথচারীরা তাকে প্রথমে হলিক্রস ফ্যামিলি হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়। আর হাতিরঝিল থানা পুলিশ বাসটি জব্দ করে। পিবিআই সুত্র জানায়, ঘটনার পরপরই ওই বাসের চালক মোরশেদ ও সহকারী বাচ্চু মিয়া পালিয়ে যায়। কৃষ্ণার স্বামী রাধেশ্যাম চৌধুরী এ নিয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত পায় পিবিআই। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার চারদিন পর মিরপুরের কাজীপাড়া থেকে বাস চালক মোরশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর বাচ্চু মিয়া পলাতকই থেকে যান। পুলিশ সুপার বশির আহমেদ বলেন, মোরশেদকে গ্রেপ্তার করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পিবিআই। পরে তাকে যখন ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন তার কাছে ভারি যানবাহন চালানোর কোনো লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। মোরশেদ ইতিমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।