× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চীনা সেনাদের উপস্থিতিতে হংকং-এ বেড়েছে সহিংসতা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ১৮, ২০১৯, সোমবার, ৮:২৩ পূর্বাহ্ন

হংকংয়ে চীনা সেনারা রাস্তা পরিষ্কারের পর নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা এবার অস্ত্র হাতে রাস্তায় নেমেছে। রোববার এক পুলিশকর্মী পায়ে তীরবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির বাইরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এক সংঘর্ষের সময় এ ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের মধ্যে কাঁদানে গ্যাস ও পেট্রোল বোমা ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, চীনা সেনাবাহিনীর একটি গ্যারিসনের নিকটে এই সংঘর্ষ হয়। এতে হংকং পুলিশের এক গণমাধ্যম যোগাযোগ কর্মকর্তা আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাঁচ মাসব্যাপী বিক্ষোভে এই প্রথম কেউ তীর দিয়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ খবর দিয়েছে দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
খবরে বলা হয়, উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে হংকংয়ে। বিগত এক সপ্তাহ ধরে অবিরাম সহিংসতা চলেছে সেখানে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। শহরজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিক্ষোভ হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় চীনের মূল ভ্থখণ্ডের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলতি বছরের জন্য ক্লাস বাতিল ঘোষণা করেছে। বিক্ষোভে ব্যহত হয়েছে হংকংয়ের যোগাযোগ ব্যবস্থাও। বিক্ষোভকারীরা একাধিক প্রধান সড়ক ও হাইওয়ে সহ অবরোধ করে রেখেছিল বহু রাস্তা। অনেকাংশে অচল হয়ে পড়েছিল ট্রেন সেবাও। প্রায় পুরো সপ্তাহজুড়েই বন্ধ ছিল হংকংয়ের বেশিরভাগ স্কুল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ সোমবারও নিরাপত্তাজনিত কারণে স্কুল বন্ধ থাকবে। বিগত সপ্তাহের উন্মত্ত পরিস্থিতি শেষে খানিক সময়ের জন্য কিছুটা শান্ত পরিবেশ বিরাজ করেছিল হংকংয়ে। তবে শনিবার চীনা সেনারা হংকংয়ের রাস্তা পরিষ্কার করতে নামে। বিক্ষোভকারীদের দেয়া অবরোধ সরিয়ে নেয় তারা। রাস্তা থেকে ইট ও পাথরের টুকরো পরিষ্কার করে। চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তাদের কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম হংকংয়ের রাস্তায় চীনের মূল ভূখণ্ডীয় সেনাদের দেখা গেছে। প্রসঙ্গত, গত জুন থেকে হংকংয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। হংকং সরকার চীনের মূক ভূখণ্ডে আসামী প্রত্যর্পণের এক বিল পাসের ঘোষণা দিলে তার প্রতিবাদে শুরু হয় বিক্ষোভ। পরবর্তীতে বিলটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। তবে ততদিনে বিক্ষোভকারীদের দাবি আরো বৃদ্ধি পায়। সরকার সব দাবি পূরণ করতে অস্বীকার জানালে বিক্ষোভ জারি থাকে। এদিকে, সময় যত গড়াচ্ছে বিক্ষোভ তত সহিংস হয়ে ওঠছে। চাপ পড়ছে অর্থনীতিতেও। বিগত এক দশকে প্রথমবারের মতো নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে হংকংয়ের অর্থনীতি। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থনীতি ৩.২ শতাংশ কমেছে। হংকংয়ের রাস্তায় চীনা সেনাদের সক্রিয়তায় বিক্ষোভের মাত্রা বেড়েছে। চীনের অংশ হলেও ‘এক দেশ, দুই নীতি’ ব্যবস্থার আওতায় বেশ খানিকটা স্বায়ত্ত্বশাসন ভোগ করে হংকং। হংকংয়ের সংবিধান অনুসারে, চীনা সেনাদের হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুমোদন নেই। কেবলমাত্র হংকং সরকারের অনুরোধে জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তাদের মোতায়েন করা যেতে পারে। অধিকারকর্মীরা চীনা সেনাদের হংকংয়ের রাস্তা পরিষ্কারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। গণতন্ত্রপন্থীদের একটি দল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এতে সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে। হংকং সরকার অঞ্চলটির বাসিন্দাদের চীনা সেনাদের উপস্থিতিতে অভ্যস্ত করে তুলতে চাইছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর