নতুন সড়ক আইন সংশোধনের দাবিতে আকস্মিক যশোরের ১৮ রুটে স্বেচ্ছায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে চালক ও শ্রমিকরা। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তারা ধর্মঘটে যায়। চালকদের বক্তব্য হলো দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। এদিকে আকস্মিক বাস বন্ধ হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। পরিবহন শ্রমিকরা জানান, গতকাল সকাল থেকে যশোরের ১৮টি রুটে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বাইরে থেকে যশোরে কোনো যাত্রীবাহী বাস আসেনি। দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচলও বন্ধ রয়েছে। তাদের দাবি নতুন আইনে যে শাস্তি ও জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে তা মেনে কাজ করা সম্ভব নয়।
এজন্য তারা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। এ কালো আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বাস পার্কিং করে রেখে দেয়া হয়েছে এবং যাত্রীরা বাসের জন্য এসে গন্তব্যে যেতে না পেরে দুর্ভোগে পড়েছেন। যাত্রীরা বলছেন এখন হেঁটে বা অন্য বাহনে ফিরতে হবে তাদের। এদিকে বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা বিভাগীয় শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মোর্তজা হোসেন জানান, ফাঁসির দড়ি নিয়ে শ্রমিকরা পরিবহনে কাজ করতে রাজি না। যে কারণে তারা স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এটা কোনো ইউনিয়ন বা ফেডারেশনের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি না।