সাভারের আশুলিয়ায় ফেসবুকে লাইক-কমেন্টের জেরে প্রতিপক্ষের এক যুবলীগ সমর্থককে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ রাজন ভূইয়া নামে এক জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছেন। গতকাল আশুলিয়া জামগড়া এলাকা থেকে অভিযুক্ত রাজন ভূইয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে গত ১২ই নভেম্বর দুপুরে আশুলিয়ার বেরণ তেতুঁলতলা এলাকায় হারুন (২৫) নামে যুবলীগের এক সমর্থককে মারধর করে জখম করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এঘটনায় রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ১৬ই নভেম্বর আশুলিয়া থানায় আট জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন হারুন। গ্রেপ্তারকৃত রাজন ভূইয়া (৩৫) আশুলিয়ার নরসিংহপুর সোনা মিয়া মার্কেট এলাকার মো. বারেকের ছেলে। ভুক্তভোগী হারুন জানান, গত ১২ই নভেম্বর দুপুরে জামগড়া তেতুঁলতলা এলাকায় পৌঁছলে ইয়ারপুর ইউপি যুবলীগ নেতা সোহেল সরকারের লোকজন তাকে ডেকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির সরকারের বিরুদ্ধে ফেসবুকের একটি পোস্টে কমেন্ট-লাইক কেন দিয়েছি তা জানতে চায় তারা।
আমি জানাই ওই পোস্ট আমার এক বন্ধু করেছে। এরপরই রাজন ভূইয়া, সোহেল সরকার, সাগর, টগর, আরাফাত ও জুয়েলসহ ১০-১২ জন তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে লোহার পাইপ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে পালিয়ে তারা। পরে সজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের সাথে তার বক্তব্যে যথেষ্ট অমিল পাওয়া গেছে। মুঠোফোন ও লিখিত অভিযোগ কপির মূল অংশে মারধরের ঘটনার উল্লেখ করলেও শেষের অংশে মামলার বাদী হারুন তার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছেন। বিষয়টি জানতে চাইলে ভুক্তভোগী হারুন বলেন, ‘তার কোন কন্যা সন্তান নেই। তাহলে অভিযোগে তার মেয়েকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ কেন করেছেন জিজ্ঞেস করলে ফোন কেটে দেন। পরে অনেকবার ফোন করলেও তিনি আর ফোন ধরেননি। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম সুমন জানান, কিছু দিন পূর্বেও জামগড়া এলাকায় যুবলীগের পাঁচকর্মীকে মেরে জখমের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মামলার অন্যতম আসামি রুবেল ভূইয়া পলাতক রয়েছেন। এঘটনার পর আবারো জামগড়া এলাকায় ইয়ারপুর ইউপি যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন হারুন নামে এক ব্যক্তি। লিখিত অভিযোগে উল্লিখিত মারধর ঘটনা সঠিক, কিন্তু মেয়েকে উদ্ধারের বিষয়টি ‘মিসটেক’ বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।