কোম্পানীগঞ্জে গ্রেটার নোয়াখালী জিএনপি-৩ প্রকল্পের অধীনে ১৪শ’ মিটার গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলজিইডি’র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাহফুজুল হোসাইন ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী খুরশিদ আলম’র ছত্রছায়ায় মূলত এই সড়কে সরকারি শিডিউল অমান্য করে বেজায় নিম্নমানের কাজ করার সুযোগ পায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। অভিযোগ রয়েছে, এ অনিয়মে নীরব ভূমিকায় থেকেছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, নিম্নমানের কাজ সম্পর্কে উপজেলা এলজিইডি’র কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলেনি। রোববার দুপুরে সরজমিন গেলে, স্থানীয়রা জানান অভিযোগের পরও ওই রাস্তার কাজে স্থানীয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে যথাযথ তদারকি করতে দেখা যায়নি। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের যোগিদিয়া জিপিএস টু সিরাজ মিয়ার বাজার সড়ক নির্মাণ করে ঠিকাদার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ সড়ক নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির সকল সীমারেখা ছাড়িয়ে। সড়কটি সিরাজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ননা মিয়ার দোকান থেকে শুরু হয়ে সিরাজ মিয়ার বাজারে গিয়ে সকড়টি শেষ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান, রাস্তাটি নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। কাজের শুরুতেই পুরো সড়কে পুকুরের নিন্মমানের বালু, নিম্নমানের ইটের খোয়া, সড়কের এজেন্টে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। রাস্তার পাশের গাইডওয়ালগুলোও নির্মাণ করা হয়েছে বেজায় নিম্নমানের। গাইডওয়াল নির্মাণে ব্যবহার করা হয়ে তিন নম্বর ইট, রড। সরেজমিনে এই নির্মাণ কাজের তদন্ত করলে যার সত্যতা মিলবে। স্থানীয় সচেতন মহল বলেন, গ্রামগঞ্জের রাস্তাঘাটের এমন ভাবে যদি কাজ করা হয় তাহলে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার কতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব হবে? এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আপনার লিখুন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনুমানিক ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরে যোগিদিয়া জিপিএস টু সিরাজ মিয়ার বাজার সড়ক নির্মাণে ১৪শ’ মিটার রাস্তার পাকাকরণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সেঞ্চুরী টেড্রার্স’র কর্ণধার মোহাম্মদ সেলিম উল্যাহ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেঞ্চুরী ট্রেডার্স’র কর্ণধার এর ভাই সোহেল জানান, তার ভাই স্ট্রোক করে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বর্তমানে এ লাইন্সেস এ কাজটি করছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মাইন উদ্দিন মামুন। ঠিকাদারের প্রতিনিধি সুজিত চন্দ্র সাহা জানান, স্থানীয় ইটভাটার মালিক ৬ ট্রাক দুই নাম্বার ইটের খোয়া পাঠিয়েছেন। এছাড়া রাস্তাটি নির্মাণে কোনো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। এ বিষয়ে ঠিকাদার মাইন উদ্দিন মামুন’র ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন। এ বিষয়ে উপ সহকারী প্রকৌশলী খুরশিদ আলম জানান, তিনি পরে এ বিষয়ে কথা বলবেন। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাহফুজুল হোসাইন বলেন, নিম্নমানের কাজ সম্পর্কে আমার জানা নেই। তিনি আরো জানান, তার ছত্রছায়ায় কোন নিম্নমানের কাজ হচ্ছে না। নোয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সাত্তার বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।