× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ধামরাইয়ে সমিতির জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা

বাংলারজমিন

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
১৮ নভেম্বর ২০১৯, সোমবার

ঢাকার ধামরাইয়ের  বাইচাইল গ্রামে ‘ইনসাফ’ সমিতির ৫৮৪ শতাংশ জমির আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের উত্তেজনা কমেনি। গত ৩৫ বছরের বিরোধ এক পক্ষ মীমাংসা চাইলেও অপর পক্ষ তা চান না। তাই ওই গ্রামে এ জমির দখল নিয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এ সমিতির জমি নিয়ে ইতিমধ্যে দফায় দফায় হামলা-সংঘর্ষ ও মামলায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে এলাকার অনেকেই। তারপরও শান্ত হচ্ছে তারা। ভিটে মাটি বিক্রি করে হলেও প্রতি পক্ষকে ঘায়েল করতে একটি পক্ষ মরিয়া হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী বলছেন, দু’পক্ষের মধ্যে এমন ডাঙ্গা হাঙ্গামা চলতে থাকলে দু’পক্ষের লোকজনই  এক সময় নিঃস্ব হয়ে পড়বে। বাইচাইল গ্রামের ডা. মুশফিকুর রহমান চৌধুরী জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানান, হিংসা, রাগ-অভিমান আর  ক্ষোভ নিয়ে নয় সুন্দর মন নিয়ে দু’পক্ষ এক সঙ্গে বসলেই দীর্ঘদিনের বিরোধটি মীমাংসা হবে আর গ্রামে ফিরে আসবে শান্তি।
এতে তিনি রাজনৈতিকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছেন। জানা গেছে, ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের বাইচাইল গ্রামে ইনসাফ সমিতির নামে ৫৮৪ শতাংশ জমির অধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দিন দিন উত্তেজনা বাড়ছে। সমিতির এ জমির মধ্যে তিনটি বড় পুকুর, একটি বড় খেলার মাঠ, একটি ঈদগাহ্‌ মাঠ রয়েছে। এসব পুকুর ইনসাফ সমিতির কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ওই গ্রামের লোকজনই ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু একটি পক্ষ তা মেনে নিতে পারছেন না। তাই বার বার বিরোধ সৃষ্টি করে গ্রামকে অশান্ত করে তুলেছেন। স্থানীয়রা জানান, এ সমিতির জমি নিয়ে  বাইচাইল উত্তর ও দক্ষিণপাড়ার মধ্যে কয়েক দফায় হামলা-সংঘর্ষ হলে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এরমধ্যে বাইচাইল দক্ষিণপাড়াবাসীর পক্ষের আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থেকে তিনিই ইনসাফ সমিতির পুকুর ভোগ দখল করেন। কিন্তু সমিতির কাছে কোন হিসাব না দেওয়ায় ২০১০ সালে সমিতির সদস্যদের মধ্যে আবার বিবাদের সৃষ্টি হয়। এরপর ২০১০ সালেই বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেনকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ২০১২ সালেই মুশফিকুর রহমান চৌধুরী জাহাঙ্গীরকে সভাপতি ও মোতাহার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ইনসাফ সমিতির ২৩ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এরপর সুন্দরভাবেই চলে তাদের কার্যক্রম। তারা  সমিতির তিনটি পুকুর বাইচাইল উত্তরপাড়ার খোরশেদ আলম ও কাজী লিটনের কাছে গত একবছর আগে তিনবছরের জন্য ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকায় ইজারা দেন। এরমধ্যে গত ২২শে সেপ্টেম্বর পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দক্ষিণপাড়ার তোতা মিয়ার সঙ্গে উত্তরপাড়ার জহিরুল ইসলামের মধ্যে তর্কবির্তক হয়। এর জের ধরেই পরদিন ২৩শে সেপ্টেম্বর ইনসাফ সমিতির মাঠে দুইপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আর ইজারা নেয়া পুকুরে দেয়া হয় বিষ। এতে মাছ মরে ভেসে ওঠে। আর ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতাহার হোসেন জানান, গত কয়েকদিন ধরেই আনোয়ার হোসেন গংরা ইনসাফ সমিতির মাঠে জমির দখলের সভা করছেন এবং তারা কমিটি থাকার পরও আবার বিরোধ করতে নতুন করে কমিটি গঠনের পাঁয়তারা করছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর