চীন থেকে পিয়াজ আমদানিতে কমপক্ষে ৩০ দিন সময় লাগবে বলে ঢাকাকে জানিয়েছে বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস। চীনে নব নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব-উজ জামান দায়িত্ব নিয়েই পিয়াজ রপ্তানিকারকসহ দেশটির বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকের প্রেক্ষিতে তিনি ঢাকাকে এই বার্তা দিয়েছেন যে, বাংলাদেশের বিদ্যমান পিয়াজ সংকট জরুরি ভিত্তিতে মোকাবিলায় চীনের ওপর নির্ভরশীলতা ইকোনমিক্যালি ভায়াবল অর্থাৎ অর্থনৈতিকভাবে যুৎসই হবে না। কম খরচে জরুরি ভিত্তিতে পিয়াজ আমাদানির জন্য বাংলাদেশকে বিকল্প দেশ খুঁজতে হবে, যে দেশের সঙ্গে ঢাকার সরাসরি বিমান যোগাযোগ সুবিধা রয়েছে অথবা সমুদ্র বন্দর টু বন্দর সময় ও খরচ কম লাগবে। চীনের পিয়াজের বাজার পর্যালোচনা করে দূতাবাস যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে- চীনের বাজারে এই মূহুর্তে যে পিয়াজ রয়েছে তা হচ্ছে ইয়োলো অনিওন। যার উৎপাদন স্থান হচ্ছে চীনের ইয়োলো সীর তীরবর্তী শানদং প্রভিন্সে। ওই প্রভিন্সের যে সমুদ্র বন্দর থেকে বিভিন্ন দেশের পিয়াজ রপ্তানি হয় তার নাম কুইং দাও পোর্ট। ৩ হাজার মাইল দূরের ওই বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত কন্টেইনার বহনকারী জাহাজ পৌঁছাতে প্রায় এক মাস সময় লাগে।
ওই অঞ্চলের সঙ্গে ঢাকায় বিমান যোগাযোগ খুব সহজ নয়। তবে আশার দিক হচ্ছে চীনের বাজারে পিয়াজের কোন সংকট নেই। এবার যে উৎপাদন হয়েছে এবং যা বাজারে আছে তার মূল্যায়নে দেশটির বাজার বিশেষজ্ঞরা গত বছরের তুলনায় ২০১৯ সালে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছেন। মোটা দাগে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড চীনের বাজার থেকে পিয়াজ আমাদানি করে। গেল বছর নেদারল্যান্ডসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে পিয়াজের ঘটতিতে পড়লে চীন থেকে জরুরি ভিত্তিতে আমদানি করেছিল। এবার সেটি কোন আভাস বা লক্ষণ এখনও নেই। ফলে চীনে পর্যাপ্ত পিয়াজ রয়েছে। কিন্তু আমদানি বা পরিবহনে সময়ক্ষেপই বাংলাদেশের জন্য একমাত্র বাধা। উল্লেখ্য, ভারতের পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট সংকটে বাংলাদেশ জরুরি ভিত্তিতে সহজে পিয়াজ আনা যাবে এমন বাজার অনুসন্ধান শুরু করে। প্রথমেই নামে আসে চীনের। এরপর মিশর, মিয়ানমার ও পাকিস্তানের বাজারের খোঁজ শুরু হয়। সরকার এবং ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ চ্যানেলে দেশগুলোর বাজারের খবর নেন। কিন্তু এরমধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ৫০-৫৫ টাকার পিয়াজ ২৪০-২৫০ টাকায় গিয়ে ওঠে।