পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া রাজধানীর শ্যামপুর থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা ২৭টি ডায়িং কারখানা ও বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামি ১৫ দিনের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে, বুড়িগঙ্গায় স্যুয়ারেজ সংযোগ না থাকার মিথ্যা তথ্য দেয়ায় ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও আইনজীবী রিপন বাড়ৈ।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, পরিবেশ ও ওয়াসার বৈধ ছাড়পত্র ছাড়া বুড়িগঙ্গার তীরে থাকা স্থাপনার প্রতিবেদন জমা দিতে পরিবেশ অধিদফতর, বিআইডব্লিউটিএ ও ওয়াসাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর প্রেক্ষিতে এক প্রতিবেদনে পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, বুড়িগঙ্গা তীরে ২৭টি অননুমোদিত ডায়িং কারখানা ও হাসপাতাল রয়েছে। ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে এসব প্রতিষ্ঠান।
অপরদিকে ওয়াসার প্রতিবেদনে এমডি জানিয়েছিলেন বুড়িগঙ্গার তীরে কোনো স্যুয়ারেজ সংযোগ নেই। কিন্তু বিআইডব্লিউটি-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নদীতে একাধিক স্যুয়ারেজ সংযোগ রয়েছে। এ কারণে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। ২০১১ সালে, মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের এক রিট আবেদন করেন। গতকাল ওই রিটের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আগামী ২রা ডিসেম্বর রিটের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।