× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া বিএনপি’র চিঠিতে যা আছে

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৮ নভেম্বর ২০১৯, সোমবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক দিল্লি সফরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সম্পাদিত বিভিন্ন চুক্তির বিষয়ে জানতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও খায়রুল কবির খোকন তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে চিঠিটি পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব ও আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে চিঠি পৌঁছে দিয়ে পৌঁনে ১টার দিকে বের হয়ে আসেন তারা। বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের বলেন, অতি সম্প্রতি ভারত সফর ও অন্যান্য দেশে সফরকালীন সময়ে সেসব দেশের  সঙ্গে বাংলাদেশের যে চুক্তি হয়েছে এসব নিয়ে শুধুমাত্র জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন। কিন্তু এ সম্পর্কে জাতীয় সংসদে আলোচনা হয়নি এমনকি রাষ্ট্রপতির কাছেও এই ফাইল গিয়েছে কি-না এ বিষয়ে সাধারণ জনগণ কিছু জানে না। কিন্তু সংবিধানের ১৪৫/ক ধারায় এটা সংসদে পেশ করার এবং জানার জনগণের সমর্থিত দল হিসেবে বিএনপি এই দায়িত্ব পালনে অগ্রসর হয়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। অবিলম্বে এটা সংসদের আলোচনার টেবিলে নিয়ে আনা হোক।
যাতে এটা পাবলিক ডিসকাশনের ব্যবস্থা হয়। সংসদে প্রতিনিধি আছে সেখানে উত্থাপন না করে এখানে কেন দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে আলাল বলেন, জাতীয় সংসদে আমাদের যারা সদস্য আছেন তারা কয়েক দফা এ ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করেছেন, নোটিশ দিয়েছেন। তাদের সে নোটিশ গ্রহণ করা হয়নি। কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি। আমরা কোন উপায় না পেয়ে এখানে চিঠি দিলাম।  

প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক পৃষ্ঠার চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদশের সংবিধানের আর্টিকেল ১৪৫ (ক) তে উল্লেখ আছে যে, বিদেশের সাথে সম্পাদিত সকল চুক্তি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হবে এবং রাষ্ট্রপতি তা সংসদে পেশ করার ব্যবস্থা করবেন। তবে শর্ত হচ্ছে যে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট অনুরূপ কোনো চুক্তি কেবলমাত্র সংসদের গোপন বৈঠকে পেশ করা হবে। কিন্তু ভারতের সাথে যেসব চুক্তি স্বাক্ষর করা হলো তার কোনটি জনসমক্ষে কিংবা জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়নি। ফলে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণই এই সকল চুক্তির খুঁটিনাটি এবং বিস্তারিত বিবরণ সম্পর্কে পুরোপুরি অন্ধকারে রয়েছে। অথচ এই সকল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির বিষয়ে অভিহিত থাকা জনগণের মৌলিক অধিকার, যে অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত রাখা স্পষ্টতই সংবিধানের লঙ্ঘন। এমতাবস্থায় সংবিধানের আর্টিকেল ১৪৫ (ক) অনুযায়ী ভারতের সাথে এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে স্বাক্ষরিত সকল চুক্তির পূর্ণ বিবরণী অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ ও জনসম্মূখে প্রকাশ করে জনমনে সৃষ্ট নানাবিধ প্রশ্ন ও সন্দেহ দূর করার আহ্‌বান জানাচ্ছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর