× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নড়াইলে প্রতিবন্ধীর জমিতে ভূমিদস্যুদের লোলুপ দৃষ্টি

বাংলারজমিন

নড়াইল প্রতিনিধি
১৮ নভেম্বর ২০১৯, সোমবার

নড়াইল সদরের বিছালী বাজারে অসহায় অন্ধ ছবেদ আলীর জমিতে লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে ভূমিদস্যু চক্রের। তারা অন্ধ ছবেদ আলীর জমি গ্রাস করতে ব্যর্থ হয়ে নানাভাবে হয়রানি ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ ছবেদসহ ওই জমির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ভূমিদস্যুদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল সকালে নড়াইল জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. ফারুক হোসেন ফুয়াদ বলেন, বর্ণী গ্রামের ছবেদ আলী মোল্যা ১৯৭৭ সালে বিছালী বাজার এলাকায় সাবেক ১১৪৮ দাগের ২২ শতক জমি ক্রয় করেন। একই গ্রামের এসএ রেকর্ডিয় মালিক রামগোপালের কাছ হতে তিনি এ জমি ক্রয় করেন। এরপর ওই জমির নামজারি করে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেন। আরএস রেকর্ড পেয়েছেন। কিন্তু বিছালী গ্রামের সেকেন ফারাজী, শরিফুল, আলতাফ ও রজব আলীর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ওই জমিতে।
তারা নানাভাবে ওই জমি নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর ২০১০ সালে তৎকালীন নায়েব নিশীকান্তকে দিয়ে ওই জমি অর্পিত সম্পত্তি দাবি করে দেওয়ানী মামলা করায়। মামলাটি চলমান রয়েছে। দীর্ঘকাল ভোগ দখলে থেকে সম্প্রতি ছবেদ আলী ওই জমির কিছু অংশ বিছালী গ্রামের মো. জাকারিয়া, ফারুক হোসেন ফুয়াদ, জিয়ারুল মোল্যা, তৌফিক মোল্যা, সবুর মোড়ল, আগদিয়া গ্রামের রিফাত সরদার এবং বর্ণী গ্রামের ওমর আলী মোল্যার কাছে বিক্রি করেন। ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে তারা উক্ত স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। এ সব জমির মালিকগণ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে ভূমিদস্যু চক্রের অপতৎপরতা এবং এ জমি সংক্রান্ত অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ করেন। তারা জানান, ওই কুচক্রী মহল বিভিন্নভাবে অন্ধ ছবেদ আলীসহ জমির অন্যান্য মালিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জমির মালিক বর্ণী গ্রামের অন্ধ ছবেদ আলী জানান, তিনি একজন অসহায় গরিব মানুষ। ৩৫ বছর আগে চোখে সমস্যা হয়। অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে না পারায় স্থায়ীভাবে অন্ধ হয়ে গেছেন। একমাত্র ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। স্ত্রী রিজিয়া বেগম রোগাক্রান্ত হয়ে একটি চোখ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। অপর চোখে কোনো রকম দেখতে পায়। চরম দুরাবস্থায় তাদের জীবন চলছে। অর্থাভাবে বাজারের প্রায় সবটুকু জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। ভূমিদস্যু চক্র তার ওই সামান্য জমি গ্রাস করতে তাকে নানাভাবে নাজেহাল করছে। তিনিসহ অন্যান্য ভূমি মালিকরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর