× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অযোধ্যা রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করবে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ১৮, ২০১৯, সোমবার, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন

উত্তর প্রদেশের সুন্নী ওয়াকফ বোর্ড এবং শিয়া কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া অযোধ্যা রায় মেনে নিলেও মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এবং জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে চলেছে । এছাড়া মামলার আবেদনকারী মোহাম্মদ উমর, মাওলানা মাহফুজুর রহমান এবং মিসবাউদ্দিনও রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। সুপ্রম কোর্ট অযোধ্যা নিয়ে রায় দানের আটদিন পরে রায় পুনর্বিবচনার জন্য ফের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবার পাশাপাশি মুসলিমদের একাংশ দাবি করেছেন, বাবরি মসজিদ যেখানে ছিল সেখানেই মসজিদ নির্মাণ করতে দিতে হবে। অন্যত্র জমি দেবার সিদ্ধান্তকে তারা প্রত্যাখ্যান করছেন। অযোধ্যা রায়ে বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রামমন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডকে অন্যত্র ৫ একর জমি দিতে বলা হয়েছে। রায়ের পরে ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জাফর ফারুকি জানিয়েছিলেন, তারা রিভিউ পিটিশন চান না। রবিবার ল বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানার পরেও তিনি আগের সিদ্ধান্তের কথাই জানিয়েছেন।
অযোধ্যা মামলার অন্যতম প্রধান আবেদনকারী ইকবাল আনসারিও জানিয়েছেন, তিনি রায়ের পুনর্বিবেচনা চান না। তার মতে, রিভিউ চেয়ে রায় বদলাবে বলে আমি মনে করি না। রায় বদলের আশা করছেন না ল বোর্ড এবং জমিয়তের নেতারাও। জমিয়ত-প্রধান মাওলানা আরশাদ মাদানি এ দিন বলেছেন, আমাদের আর্জি হয়তো খারিজই হয়ে যাবে। কিন্তু তবু আর্জি জানাব। অযোধ্যা রায় আসার আগে অবশ্য মাদানিই বলেছিলেন, রায় যা-ই হোক, তারা মেনে নেবেন। কিন্তু ‘বিকল্প’ জমির প্রশ্নে সংগঠনের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।

রিভিউ চাওয়া হবে কি না, তা ঠিক করতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি নতুন আর্জি জানানোর পক্ষে মত দিয়েছে। জমিয়ত এবং ল বোর্ডের বক্তব্য, মসজিদের জন্য ‘বিকল্প’ জমি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ল বোর্ডের সম্পাদক জাফরিয়াব জিলানি বলেছেন, মসজিদের জমি আল্লাহর। শরিয়ত মোতাবেক ওই জমি অন্যকে দেওয়া যায় না। মসজিদের জমির বদলে কিছু নেওয়াও যায় না। জমিয়তের হয়ে অযোধ্যা মামলার আবেদনকারী এম সিদ্দিক এদিন দাবি করেছেন, অযোধ্যা রায় তথ্যপ্রমাণ এবং যুক্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত নয়। ল বোর্ডও তার বিবৃতিতে বলেছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসকে ১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্টই জাতীয় লজ্জা বলেছিল। মসজিদের জন্য বিকল্প জমি দিয়ে সেই লজ্জা ঢাকা যাবে না। বর্তমান রায়েও বাবরি মসজিদ ধ্বংসের নিন্দাই করা হয়েছে। বিজেপি এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতে, সম্প্রীতির স্বার্থে রিভিউ না চাইলেই ভাল করবে বোর্ড।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর