রৌমারী উপজেলার ২টি ব্রিজের নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের গাফিলতিতে জনসাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। কাজের মেয়াদ দেড় বছর অতিবাহিত হলেও কার্যকরী ব্যবস্থা নেই সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। জানা গেছে, ৬৭ বছরের উন্নয়ন বঞ্চিত বহুল আলোচিত রৌমারীর বড়াইবাড়ি গ্রামে ধরনি নদীর উপর ৬৬ মিটার একটি ব্রিজ নির্মাণের বরাদ্দ দেয়া হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে সন্দ্বীপ ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। যার নির্মাণ কাজের ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১লা অক্টোবর ২০১৭ সাল এবং শেষ হওয়ার কথা ৩০শে জুন ২০১৮ সালে। কিন্তু কাজের ধীরগতি ও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে দেড় বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ব্রিজটির কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
এ ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে রৌমারী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা বড়াইবাড়ী গ্রাম, বড়াইবাড়ী বিজিবি ক্যাম্প, ঝাউবাড়ী, পূর্ববারবান্দা, চুলিয়ারচর, বাওয়াইর গ্রাম, বকবান্দা, খেওয়ারচর, পূর্বদুবলাবাড়ী, পাটাধোয়াপাড়া, চরকলাবাড়ী, কলাবাড়ী, দুবলাবাড়ীসহ প্রায় ১৩টি গ্রামের ২২ হাজার মানুষ যাতায়াত সুবিধা পাবে। অপরদিকে ইজলামারী গ্রামের জিঞ্জিরাম নদীর উপর ৮৫ মিটার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি শুরু করা হলেও একইভাবে কাজের ধীরগতি ও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে ব্রিজ নির্মাণের কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। ব্রিজ দুটির কাজ ১৭ সালের দিকে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। ফলে এলাকার মানুষ চরমভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ব্রিজ দুটি দীর্ঘদিন থেকে নির্মাণ না হওয়ায় ধরনি ও জিঞ্জিরাম নদীতে নৌকা কিংবা বাঁশের সাঁকো দিয়ে হাট-বাজার স্কুল ও কলেজে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সীমান্তবর্তী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আসামি ধরা ও সরকারি দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছেন। এ বিষয়ে ব্রিজ দুটির কাজের দায়িত্বে থাকা উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মেজবাহ-উল আলম বলেন, জিঞ্জিরাম নদীর উপর ব্রিজটির কাজ অতিদ্রুত শুরু হবে। তবে ধরনি নদীর উপর ব্রিজটি বারবার বন্যার কারণে নির্মাণে দেরি হচ্ছে। আমরা ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে চেষ্টা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শেষ করার।