× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কমলগঞ্জে জানাজার দোয়া নিয়ে সংঘর্ষ

বাংলারজমিন

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার

জানাজার নামাজ শেষে দোয়া পড়া নিয়ে হামলায়, ভাঙচুর ও মামলা পাল্টা মামলার ঘটনায় গত দুদিন ধরে কমলগঞ্জের নোয়াগাঁও গ্রামে দুই তরিকার মুসল্লিদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা গেছে, গত শনিবার নোয়াগাঁও গ্রামের মঈনুদ্দিন মিয়ার স্ত্রীর স্বাভাবিক মৃত্যু হলে ওই দিন বাদ মাগরিব তাহার জানাজার নামাজের আয়োজন করা হয়। জানাজার নামাজে স্বজন ও স্থানীয় লোকজন ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। জানাজার নামাজ শেষে দোয়া করার দাবি জানান নিহতের নিকটাত্মীয় সুন্নি তরিকার আলাউদ্দিন। তার এ দাবির বিরোধিতা করেন আলাউদ্দিনের প্রতিবেশী ওহাবী তরিকার ইসলাম উদ্দিন দুরুদ। দোয়া করা না করা নিয়ে স্থানীয় নোয়াগাঁও জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন দুরুদের সঙ্গে আলাউদ্দিনের বাকবিতণ্ডা চলাবস্থায় মৃতের লাশ কবরে নামানো হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত ৭টার দিকে গ্রামের মঙ্গল মিয়ার দোকানের সামনে আলাউদ্দিনের ছেলে নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে
ওই দিন রাত ৮টার দিকে ইসলাম উদ্দিন দুরুদ ও সাহানুর আলী লস্করের নেতৃত্বে কতিপয় লোক আলাউদ্দিনের বড় ছেলে গিয়াস উদ্দিনের বসতঘরে হামলা করা হয়।
এ সময় হামলাকারীরা বসতঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে নগদ লাখ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রামে উত্তেজনা দেখা দিলে কমলগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। আলাউদ্দিনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন বলেন, জানাজার নামাজের ঘটনাটি শেষ হয়ে গেলেও ইসলাম উদ্দিন দুরুদ ও সাহানুর আলী লস্করের নেতৃত্বে রাতে ১৫ থেকে ২০ জনের একদল লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ছোট ভাই শাহীনের পা অপারেশন জন্য বসতঘরে রাখা নগদ ২ লাখ টাকাসহ মালামাল লুঠ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তার মা আমিরুন বিবি বাদী হয়ে ইসলাম উদ্দিন দুরুদকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইসলাম উদ্দিন দুরুদ বলেন, অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে গ্রামের রমজান আলীর ছেলে শহীদ আলী বাদী মারধর ও নগদ টাকা লুটের অভিযোগ করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ইসলাম উদ্দীন দুরুদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। গতকাল সোমবার দুপুরে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ দুটি অভিযোগের তদন্ত করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর