ফরিদপুরে অস্বাভাবিক হারে কমতে শুরু করেছে পিয়াজের দাম। গত ২৪ ঘণ্টা পিয়াজের দাম কমেছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। হঠাৎ করে পিয়াজের বাজারে ধস হওয়ায় ক্রেতাদের চরম খুশি হতে দেখা গেছে। ফরিদপুর শহরের তিতুমীর বাজার, শরীয়তুল্লাহ বাজার, হেলিপ্যাড বাজার, বটতলা বাজারসহ আশেপাশের সব বাজারগুলোতে একই অবস্থা বিরাজ করছে। এ ছাড়া জেলা পিয়াজের বড়বড় হাট কানাইপুর, চিতার বাজার, ময়েনদিয়া, মাঝারদিয়া, বিনোকদিয়াসহ জেলার সব বাজারের হাটগুলোতে প্রকান্তরে পিয়াজের মণ বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৬ হাজার টাকায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, আগাম পিয়াজ (যা স্থানীয়ভাবে মুড়িকাটা পিয়াজ বলে থাকে) বাজার আসলেই পিয়াজের বাজার এ রকম থাকবে না। তারা আরো জানান, আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পিয়াজের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। শরীয়তুল্লাহ বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন জানান, মুড়িকাটা পিয়াজ বাজারে সামান্য হারে এসেছে ফলে ক্রেতারা এখন পুরান পিয়াজ বাদ দিয়ে নতুন পিয়াজ ক্রয়ের দিকে ঝুঁকছে।
ফলে পুরান পিয়াজ (হালি) এর দাম কমতে শুরু করেছে। মুড়িকাটা পিয়াজ বাজারে আসলেই পিয়াজের দাম আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। তার জন্য ১০-১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে পিয়াজের বাজার কমতে শুরু করায় ক্রেতাদের খুশি হতে দেখা গেছে। তারা বলছে, গত কয়েকদিনে তারা পিয়াজ কিনে নাই। এখন পিয়াজ কিনতে তাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, মাঠে পর্যাপ্ত পরিমাণে মুড়িকাটা পিয়াজ রোপণ হয়েছে।
জেলায় এ বছর মোট ৩৬ হাজার হেক্টর পিয়াজের আবাদ হয়েছে। তারমধ্যে ৪ থেকে ৫ হাজার হেক্টর মুড়িকাটা পিয়াজের আবাদ হয়েছে। মুড়িকাটা পিয়াজ আসলেই বাজার আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসবে।