মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় বালুবাহী বাল্কহেড ডুবিতে নিখোঁজ ২ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে ও সন্ধ্যায় কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই নিয়ে বাল্কহেডের নিখোঁজ ৩ শ্রমিকের মধ্যে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করে মঙ্গলবার আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হবে। নিহতরা হলেন- বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার সওদারগরপাড়ার মৃত কেরামত আলী হাওলাদারের ছেলে আসলাম হাওলাদার (২৬) ও একই জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কালিবাড়ী গ্রামের মৃত মোজাহার বেপারীর ছেলে আব্দুল মান্নান (৬০)। গজারিয়া থানা তদন্ত কেন্দ্রের ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে বালু নিয়ে একটি বাল্কহেড ঢাকার দিকে যাচ্ছিল।
রাতে বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ থাকায় শনিবার রাতে ৫টি বাল্কহেড আটক করে গজারিয়া কোস্টগার্ড স্টেশন সংলগ্ন মেঘনা নদীতে নোঙরে রাখা হয়। রোববার ভোরে নদীতে ঘনকুয়াশা থাকায় বরিশাল থেকে সদরঘাটগামী এমভি কীর্তনখোলা-২ লঞ্চটি নোঙর করে রাখা বাল্কহেডের পেছনে আঘাত করলে এমভি নাদিয়া বাল্কহেডটি ডুবে যায়। এসময় বাল্কহেডে থাকা ইমাদুল তিন শ্রমিক নিখোঁজ হয়।
সোমবার সকালে গজারিয়া লঞ্চঘাটের কাছে নয়ানগর এলাকার মাঝনদীতে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি শনাক্ত করা হয়।