শ্রীমঙ্গলে বাজারে ইচ্ছামতো পিয়াজের দাম হাঁকা হচ্ছে- এমন অভিযোগে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে এ এস পি (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) সার্কেল আশরাফুজ্জামান নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং করা হয়েছে। গতকাল সকালে শ্রীমঙ্গল শহরের পৌর বাজারের সেন্ট্রাল রোডের পাইকারি আড়তে অভিযান পরিচালনা করেন এ এস পি (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) সার্কেল আশরাফুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ওসি মো. আবদুছ ছালেক, ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা, শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. ইয়াহিয়া খান, সহ-সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেনসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা। মনিটরিং এর খবর পেয়ে অধিকাংশ পিয়াজ ব্যবসায়ী ও মজুতরা পিয়াজের দাম কমিয়ে বিক্রি করতে দেখা যায়। সকালে শহরের পাইকারি মার্কেট সেন্ট্রাল সড়ক, পোস্ট অফিস সড়ক ও খুচরা বিক্রেতা নতুন বাজার ঘুরে দেখা হয়েছে।
এ সময় মদিনা স্টোর, মদিনা ভাণ্ডার, জননী স্টোর ও আক্তার স্টোরে পিয়াজের বর্তমান মূল্য যাচাই করা হয় এবং গোডাউনেরা পিয়াজ মজুত করা আছে কি না তা দেখা হয়। পাইকারি বিক্রেতারা জানান, মিয়ানমারের পিয়াজ ১৬০ টাকা, মিশরের পিয়াজ ১৫০ ও তুরস্কের পিয়াজ ১২০ টাকা করে বিক্রি করছেন। অভিযানে বাজারের প্রত্যেক পিয়াজ ব্যবসায়ীকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে সিনিয়র এ এস পি (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) সার্কেল আশরাফুজ্জামান বলেন, সারা দেশব্যাপী পিয়াজের দাম নিয়ে যে একটা অস্থিরতা যা জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে সেই আমাদের শ্রীমঙ্গলে এমন পরিস্থিতি না হয় বা জনগণের ভোগান্তি না হয় সেজন্য আমরা স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে নিয়ে পাইকারি বড় বড় আড়তগুলোতে ভিজিট করেছি।
তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা চাই না পিয়াজের দাম জনমনে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করুক। পাশাপাশি যারা পিয়াজের মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করে সে বিষয়ে প্রত্যেক পিয়াজ ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছে।