ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডু পৌর এলাকার বটতলা নামক স্থানে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন এমএল জনযুদ্ধের আঞ্চলিক নেতা বাদশা শেখ (৫০) নিহত হয়েছেন। তিনি হরিণাকুণ্ডুর জোড়া পুকুরিয়া গ্রামের হেলাল শেখের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের এসআই সরোয়ার হোসেনসহ ২ জন আহত হয়েছেন। হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, বাদশা তার অনুসারীদের নিয়ে হরিণাকুণ্ডু পৌর এলাকার জোড়া পুকুরিয়া গ্রামে টুলুর মেহগনি বাগানে নাশকতা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংগঠিত করার লক্ষ্যে মিটিং করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে আনুমানিক ৩০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এই বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে অন্যরা পালিয়ে গেলেও বাদশা শেখ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
এ সময় এসআই গোলাম সরওয়ার ও কনস্টেবল সোহেল রানা আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ও ২টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে পুলিশ মৃতের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে থানায় ২টি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাদশা শেখের বিরুদ্ধে হরিণাকুণ্ডুসহ বিভিন্ন থানায় ৭টি হত্যা ও ২টি অস্ত্র মামলা রয়েছে।