নুরুল হাসান সোহানের দুর্দান্ত দেড়শো ও জিয়াউর রহমানের বোলিং নৈপুণ্যে শিরোপার সুবাস পাচ্ছে খুলনা। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন সকালে সোহান ৫৬ ও তুষার ইমরান ৭৫ রান নিয়ে শুরু করেন। মাত্র ৭ রান যোগ করে দলীয় ২৭৪ রানে তুষার আউট হন। এরপরে নাহিদুলের সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়েন সোহান। নাহিদুল ১৬ রানে আউট হলে সোহান বাকি ৫ ব্যাটসম্যানকে সঙ্গে নিয়ে মোট ৭৩ রান যোগ করেন। যেখানে ৬৯ আসে সোহানের ব্যাট থেকে। ১৮১ বলে প্রথম শ্রেণিতে অষ্টম সেঞ্চুরি পূর্ণ করা সোহান ২২৭ বলে ১৩ চার ও ৭ ছক্কায় ১৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনার দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৭৯/১০।
আগের দিন ২ উইকেট শিকার করা ঢাকা বিভাগের শুভাগত এদিন নেন আরো তিন উইকেট। এটি তার ক্যারিয়ারের সপ্তমবার ৫ উইকেট শিকার। ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকা বিভাগ ১০ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। এরপরে রকিবুল ও শুভাগত ৭৬ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন। বিকালে ৪২ রান করা শুভাগতকে ফেরান নাহিদুল। দিনশেষে রকিবুল ৩৯ ও মোহাম্মদ আরাফাত (৯*) ঢাকার পক্ষে তৃতীয় দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ১০২ রান নিয়ে। জিয়াউর রহমান ২৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। ঢাকা ম্যাচের শেষ দুই দিন খেলছে ১০ জন নিয়ে। সতীর্থ আরাফাতের গায়ে হাত তুলে ম্যাচ থেকে বহিষ্কৃত হন ঢাকার পেসার শাহাদাত হোসেন।
শামসুর-মার্শালের সেঞ্চুরি
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটে ২২৫ রান নিয়ে দিন শুরু করে মেট্রো। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শামসুর(১০৩) ও মার্শাল(১০৯) ফেরেন সেঞ্চুরি করেই। পঞ্চম উইকেটে জাবিদ হোসেনকে নিয়ে ১১২ রানের জুটি গড়েন আল আমিন। ৯২ রানে আল আমিন আউট হলেও জাবিদ ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকা মেট্রো প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করেন ৪৬৬। বরিশালের পক্ষে সোহাগ গাজী নেন ৯৮ রানে ৩ উইকেট। জবাবে তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ৩০ রান তুলেছে বরিশাল। ফজলে মাহমুদ ১৯ ও নুরুজ্জামান ১ রানে অপরাজিত আছেন। আরাফাত সানি শিকার করেছেন ২ উইকেট। বরিশাল তাদের প্রথম ইনিংসে করে ৪১৪ রান। ঢাকা মেট্রোর চেয়ে বরিশাল এখনো ২২ রানে পিছিয়ে আছে।
রাজশাহীতে আরিফুলের ৬ উইকেট
রাজশাহীতে ৫ উইকেটে ২২৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করা স্বাগতিকদের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে গুটিয়ে দেন আরিফুল হক। ২৩.২ ওভারে ৪১ রান নিয়েছেন ৬ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার আগের সেরা ছিল ৭৫ রানে ৬ উইকেট। আগেরদিন ২২ রানে অপরাজিত থাকা সাব্বির রহমান এদিন রান যোগ না করেই ফেরেন। এরপরই আরিফুলের তোপে ২৫৪ রানে অল আউট হয় রাজশাহী। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ২২৮ রান তুলে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে রংপুর। চার উইকেট হাতে রেখে তাদের লিড ২৪৮ রানের। আরিফুল ৪৪ বলে ৪৮ রান করে আউট হয়। দিনশেষে তানবীর অপরাজিত আছেন ৭২ রানে; সঙ্গী রিশাদের সংগ্রহ ৯ বলে দুই ছক্কায় ১৮ রান। রংপুরের ৬ উইকেটের চারটিই পেয়েছেন দেলোয়ার হোসেন।