মেক্সিকোর বিপক্ষে ১৪ বছরের শোধ তুলে ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলো ব্রাজিল। ব্রাজিল সর্বশেষ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল ২০০৫ সালে। আর সেবার মেক্সিকোর কাছে ৩-০ গোলে হেরে রানার্সআপ হতে হয় তাদের। আর এবারের আসরে ঘরের মাঠে ফাইনালে ২-১ গোলে মেক্সিকোকে হারিয়ে ১৬ বছর পর শিরোপা পুনরুদ্ধার করলো ব্রাজিল। সর্বশেষ ২০০৩ সালে ফিনল্যান্ডে শিরোপা জিতে ব্রাজিল। এটি তাদের চতুর্থ শিরোপা জয়। এর আগে ১৯৯৭, ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালে শিরোপা জিতে তারা।
ব্রাজিলের বেজেরাও মাঠে রোববার রাতে মেক্সিকোর মুখোমুখি হয় স্বাগতিকরা। ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করা ব্রাজিলই আগে গোল হজম করে।
ম্যাচের ৬৬ তম মিনিটে মেক্সিকোর গনজালেস অলিভিয়ান গোলটি করেন। পুরো ম্যাচে মেক্সিকো ঐ একটি শট গোলমুখে নিতে পারে। ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে রেফারি আন্দ্রিস ট্রিমানিস ভিএআরের সহায়তা নিয়ে ব্রাজিলকে পেনাল্টি দেয়। কাইয়ো জর্গ পেনাল্টি থেকে স্বাগতিকদের ম্যাচে ফেরায়। এই ফুটবলার ৫ গোল ও ১ অ্যাসিস্ট করে ব্রোঞ্জ বল জেতেন। যদিও গোলটি নিয়ে আপত্তি তোলে মেক্সিকোর কোচ মার্কো আন্তোনিও রুইজ। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘সবসময় এল ট্রাইও বঞ্চনার শিকার হয়। ব্রাজিলকে তখন ভিএআরের সুযোগ দেয়া হলো, যখন তারা পিছিয়ে পড়েছে। আর পুরো ম্যাচে আমরা এগিয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ করছিলাম। তাদের ভিএআরের সুবিধা দিয়ে মানসিকভাবে চাঙা করে করে দিলো রেফারি।’ সমতায় থাকা ম্যাচের ফলাফল নিশ্চিত হয় ব্রাজিলের ভিনিসিয়াস মারকুয়েজের গোলে। আর স্বাগতিকদের পক্ষে গোলটি আসে ম্যাচের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে।
এবারের আসরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো ব্রাজিল। গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচে কানাডাকে ৪-১, নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ ও অ্যাঙ্গোলাকে ২-০ গোল ব্যবধানে হারায় স্বাগতিকরা। এরপরে নকআউট স্টেজে চিলিকে ৩-২ ও ইটালিকে ২-০ গোল ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-০ গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে শেষপর্যন্ত তাদের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে ফাইনালে উঠে আসে স্বাগতিক দেশটি। এবারের আসরে তৃতীয় স্থান দখল করে ফ্রান্স। তারা নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে হারায়।
এবারের আসরে গোল্ডেন বুট জিতে নেয় নেদারল্যান্ডসের সন্তিয়ে হ্যানসেন। ৭ ম্যাচে ৬ গোলের পাশাপাশি ৩টি অ্যাসিস্ট করেন এই উঠতি তারকা ফুটবলার। আর গোল্ডেন বল জেতেন ব্রাজিলের গ্যাব্রিয়েল ভেরন। গোল্ডেন গ্লাভস অর্জন করেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক ম্যাথিউজ দানেলি। আর ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড আসে ইকুয়েডরের দখলে।