বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ইতিহাসে দেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব রয়েছে মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যানের। এদের দুজনই দল পেলেন না এবারের প্লেয়ার্স ড্রাফটে।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৮ সালের বিপিএলে ফিরেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। গতবারের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। গত বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ (ডিপিএল) টি-টোয়েন্টিতে ৫ ইনিংসে আশরাফুল করেছিলেন মাত্র ৪৬ রান। এবার প্লেয়ার্স ড্রাফটে কোনো দল ক্রয় করেনি আশরাফুলকে। বিপিএলের আরেক সেঞ্চুরিয়ান শাহরিয়ার নাফীসকেও দলে ভেড়ায়নি কোনো দল। গত বিপিএল ও ডিপিএল টি-টোয়েন্টিতে ৫ ম্যাচে নাফীসের সাকুল্যে সংগ্রহ ১০০। এছাড়াও জাতীয় দলের পেসার ইবাদত হোসেন, সাদমান ইসলামকেও কেনেনি কোনো দল।
দল পাননি জাতীয় লীগে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাকও। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যেও অনেক পরিচিত মুখ অবিক্রিত রয়েছে। তবে প্রতিটি দল সর্বোচ্চ ৮ জন বিদেশি ক্রিকেটার নিতে পারবে। আর সেই কোটা এখনো পূরণ করেনি কোনো দল। ঢাকা প্লাটুন ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স সর্বোচ্চ ৬ জন করে বিদেশি ক্রিকেটার নিয়েছে।
বিপিএলে এ পর্যন্ত ১৮টি সেঞ্চুরি দেখেছে দর্শকরা। আসরে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্রই তিনটি সেঞ্চুরি। বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রথম সেঞ্চুরির কীর্তিটি নাফীসের। ২০১৩’র আসরে খুলনার হয়ে রাজশাহীর বিপক্ষে ১০২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন শাহরিয়ার নাফীস। একই আসরে পরে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের ব্যাট হাতে খুলনার বিপক্ষে অপরাজিত ১০৩ রান করেন আশরাফুল। আসরের ইতিহাসে সর্বাধিক পাঁচটি সেঞ্চুরি রয়েছে ক্রিস গেইলের। আসরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটিও (১৪৬*) এ ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানের। দেশিদের মধ্যে সবশেষ সেঞ্চুরিটি তামিম ইকবালের। সবশেষ বিপিএলের ফাইনালে ঢাকা ডায়নাইমাইটসের বিপক্ষে শিরোপাজয়ী ১৪১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন তামিম।
অবিক্রীত দেশি তারকা
মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফীস, ইবাদত হোসেন, সাদমান ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক, জিয়াউর রহমান, মেহেদি মারুফ, জুবায়ের লিখন, নাঈম ইসলাম, খালেদ মাহমুদ, তানভীর হায়দার।