ঘরের মাঠে ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালের ম্যাচসেরা মহেন্দ্র সিং ধোনি। ৯১ রানে অপরাজিত থেকে ভারতকে এনে দেন শিরোপা। ওপেনার গৌতম গম্ভীরও ৯৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তবে ধোনির ইনিংসের কারণে আড়ালে পড়ে যায় সেটি। আট বছর পর বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি না পাওয়ার জন্য ধোনিকে দায়ী করলেন গম্ভীর। গম্ভীর বলেন, ‘৯৭ রানে ব্যাট করার সময়ে আমার মাথায় কী চলছিল, বহুবার এই প্রশ্নটা আমাকে শুনতে হয়েছে। ৯৭ রানে পৌঁছানোর আগে ব্যক্তিগত রান, মাইলফলক এসব নিয়ে নিয়ে মাথা ঘামাইনি আমি। শ্রীলঙ্কার রান তাড়া করা কীভাবে সম্ভব, কীভাবে ব্যবধান কমানো সম্ভব, তা নিয়েই ভাবছিলাম।
আমার রান যখন ৯৭, ধোনি এগিয়ে এসে আমাকে বললো, আর ৩ রান করতে পারলেই তুমি সেঞ্চুরি করে ফেলবে। ৯৭ রানে ব্যাট করার সময়ে আমার মনঃসংযোগ ঠিকই ছিল। ধোনির ওই কথার পর সেই যে মাথায় সেঞ্চুরি করার বাড়তি একটা চাপ ঢুকে গেল, সেই চাপ থেকে আর মুক্ত হতে পারিনি। সেঞ্চুরি করার তাগিদ অনুভব করতে থাকি। আর ওই কারণেই আউট হই।’
শ্রীলঙ্কার দেয়া ২৭৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বীরেন্দর সেওয়াগকে হারায় ভারত। ৩১ রানে বিদায় নেন শচীন টেন্ডুলকারও। দলীয় ১১৪ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন বিরাট কোহলি। তবে চতুর্থ উইকেটে ধোনির সঙ্গে ১০৯ রানের জুটি গড়ে ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেন গম্ভীর। ১২২ বলে ৯৭ রান করে দলীয় ২২৩ রানে আউট হন তিনি। গম্ভীর বলেন, যখনই ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স, ব্যক্তিগত স্কোর নিয়ে বেশি ভাবনা-চিন্তা করা হয়, রক্তের গতি বেড়ে যায়। আগে শ্রীলঙ্কার রান নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছিলাম। সেটার দিকেই যদি মনোযোগ দিতাম, তাহলে হয়তো সেঞ্চুরি করেই ফিরতাম। আউট হয়ে যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছিলাম, তখন নিজের মনেই কথা বলছিলাম। বলছিলাম, এই তিন রানের আক্ষেপ আমার সারা জীবন থাকবে। সত্যি কথা বলতে কী, সেটাই হয়েছে। মানুষ এখনো আমাকে প্রশ্ন করে, সেদিন কেন ৩ রান করতে পারলাম না!