৭১ বছরের মধ্যে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয় পেলো ৪ বারের বিশ্বকাপজয়ী ইতালি। সোমবার ইউরো বাছাইয়ে গ্রুপপর্বের শেষ রাউন্ডের খেলায় আর্মেনিয়াকে ৯-১ গোলে হারায় তারা। এর আগে ১৯৪৮ সালে সর্বশেষ ৯ গোলে জিতেছিলো আজ্জুরিরা। আর এই জয়ে ইউরো বাছাইপর্বে টানা ১০ ম্যাচে জিতলো ইতালি। যা তাদের জন্য রেকর্ড। এবারের বাছাইপর্বে জয়ের শতভাগ সাফল্য ধরে রেখেছে ইতালি। ১০ ম্যাচের সবকটিতে জিতে ‘জে’ গ্রুপে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে দলটি।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে ইতালির পক্ষে গোল উৎসব শুরু করেন চিরো ইম্মোবিলে।
পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নিকোলো জানিওলো। ২৯তম মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন নিকোলো বারেল্লা। চার মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান ৪-০ করেন ইম্মোবিলে। প্রথমার্ধে ৪ গোল দেয়া ইতালি দ্বিতীয়ার্ধে ১৭ মিনিটের ব্যবধানে করে আরো পাঁচ গোল। ৬৪তম মিনিটে নিজের জোড়া গোলে ব্যবধান ৫-০ করেন জানিওলো। ৭২তম মিনিটে জাল খুঁজে নেন আলেসিও রোমানোলি। ৭৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলের সপ্তম গোলটি করেন চেলসির মিডফিল্ডার জর্জিনিয়ো। দুই মিনিট পর ব্যবধান ৮-০ হয় রিকার্দো ওরসোলিনির গোলে। ৭৯তম মিনিটে সান্ত্বনার এক গোল পরিশোধ করে আর্মেনিয়া। এর দুই মিনিট পর ফেদেরিকো কিয়েজা ইতালির পক্ষে নবম গোল করে ম্যাচে মোট দশ গোল পূর্ণ করেন। নিজেদের ইতিহাসে তৃতীয় বারের মতো প্রতিপক্ষের জালে ৯ বা তার চেয়ে বেশি গোল দেওয়ার কীর্তি গড়লো ইতালি। এই ম্যাচ নিয়ে ইউরো বাছাইপর্বে ১০ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৩৭ গোল করেছে ইতালি। আর হজম করেছে মোটে ৪ গোল। ম্যাচ শেষে ইতালি কোচ রবার্তো মানচিনি বলেন, ‘আমরা বাছাইপর্বের ১০ ম্যাচে জিতেছি। এরকম ঘটনা এর আগে ঘটেনি। আমাদের এমন পারফরম্যান্স বড় দলগুলোর দুশ্চিন্তার কারণ কিনা সেটি আমি নিশ্চিত নই। তবে অন্যদলগুলোও যেমন, বেলজিয়াম, ফ্রান্স অনেক উন্নতি করেছে। ফ্রান্স তো শেষ বিশ্বকাপে শিরোপাও জিতেছে। তবে এটি বলা যায়, ইতালির বিপক্ষে খেলা এখন কঠিন হবে। আর আমি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে খুশি। আমাদের হাতে আর ছয় মাস আছে ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের জন্য নিজেদের পরিপূর্ণভাবে গুছিয়ে নিতে। আমি বিশ্বাস করি, এই দলটা বড় কিছু জিতবে। কারণ, এটি তাদের প্রাপ্য।’