গত ১৮ই নভেম্বর মানবজমিনে প্রকাশিত ‘চৌদ্দগ্রামে মিজানের ষোলোআনা রাজত্ব’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র মো. মিজানুর রহমান প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদের শুরুতেই মাটির ঘর থেকে আলিশান বাড়ি করেছি উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ বাড়িটি আমি পৌরসভা মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগেই আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যান নির্মাণ করেছেন। আমার বাবা এখনো জীবিত। আমার চারভাই যৌথ পরিবারের সদস্য। সংবাদটিতে ঢাকা-কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আমার জায়গা, বাড়ি এবং সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আমি জোরালোভাবে বলতে পারি দেশে বা দেশের বাইরে কোথাও আমার বা পরিবারের নামে বাড়ি বা সম্পত্তি নেই। প্রকাশিত সংবাদে চাঁদাবাজির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ কোনো ঠিকাদার, শ্রমিক সংগঠন, পরিবহন মালিক, চালক ও ব্যবসায়ী, সাধারন মানুষ বলতে পারবে না কারো কাছ থেকে কোনো টাকা গ্রহণ করেছি। পৌরসভা বাসস্ট্যান্ড টোল সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী আদায় হয়, যা পৌরসভার কোষাগারে জমা হয়।
মাদকের বিরুদ্ধে আমার আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।
পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সভা-সমাবেশ ও উঠান বৈঠক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সবসময় সহযোগিতা করে যাচ্ছি। তাছাড়া পৌরসভার বিভিন্ন মসজিদে মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীদের কোনো অনুষ্ঠানে বা মৃত্যুর পর তাদের জানাযায় অংশগ্রহন থেকে আমি বিরত থাকি।
দোকান বরাদ্দ দিয়ে টাকা নেয়ার কথা সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ ওই দোকানগুলোতে টেন্ডার প্রক্রিয়াই এখনো শেষ হয়নি। সেখানে টাকা নিবো কোথা থেকে? সংবাদে উল্লেখিত পৌরানখা বাজার নামে কোন বাজার চৌদ্দগ্রামে নেই। সেখানে ৫০টি দোকান নির্মাণের কথাটিও ভিত্তিহীন। পৌরসভার সকল টেন্ডার অনলাইনে ও সঠিক নিয়মের মাধ্যমে পৌরসভার প্রকৌশলী বিভাগ দেখভাল করে। সেখানে আমার পার্সেন্টিজ নেয়ার কথাটি অবান্তর। আমার ভাই সোহেল দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলো। প্রবাসে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ব্যক্তিমালিক থেকে জামানত ও মাসিক ভাড়া দিয়ে সে ব্যবসা পরিচালনা করছে। সংবাদে আমার আরেক ভাই ঝুমনের চৌদ্দগ্রাম ও খিরনশালবাজারে একটি ব্যাংকে ১০ কোটি টাকা এফডিআর রয়েছে বলে উল্লেখ করা হযেছে। আমার জানামতে ওই এজেন্ট ব্যাংকের এজেন্ট সে। এজেন্ট ব্যাংকের জন্য ৪ লাখ টাকা রাখার নিয়ম আছে। এছাড়া ব্যাংক লোন নিয়ে সে ব্যবসা পরিচালনা করছে। তার নামে ব্যাংকে কোনো এফডিআর নেই।
সরকারি জায়গায় দখলের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বরং অবৈধ দখল বা স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে সড়ক ও জনপদ কুমিল্লা বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার দেখা করেছি। কিন্তু কেনো এসব স্থাপনা উচ্ছেদ হয়নি তা বোধগম্য নয়। এছাড়া সম্প্রতি চৌদ্দগ্রাম বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়েছে। রিডো নামে সংস্থার আমি কখনো চেয়ারম্যান ছিলাম না। আগামী পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাকে হেয়পতিপন্ন করার জন্য একটি কুচক্রি মহল সাংবাদিককে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছে। তাই আমি প্রকাশিত সংবাদে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।