জাহাজ ভাঙতে গিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে নেয়া পদক্ষেপের বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে এ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান-এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়া হয়। আগামী ৫ই জানুয়ারির মধ্যে এ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ওইদিন ৪১টি ইয়ার্ড বন্ধ রাখার বিষয়ে করা বেলার আবেদনের ওপর আদেশ দেবেন আদালত। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুদ্দিন খালেদ।
আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, আদালত সরকারকে বিভিন্ন দুর্ঘটনা বিষয়ে তাদের অনুসন্ধান, দায়ী ইয়ার্ডের বিরুদ্ধে গৃহিত শাস্তিমূলক ও সংশোধনমূলক পদক্ষেপের বর্ণনা এবং আহত, নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুর্নবাসনে গৃহিত পদক্ষেপের বিস্তারিত জানিয়ে আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ২০০৮ সালে জাহাজ ভাঙার ইয়ার্ডে শ্রমিক স্বার্থ নিশ্চিত করতে রিট করেছিল বেলা। ওই রিটে আদালত দফায় দফায় নির্দেশনা দেয়ার পরও সরকার ও মালিকপক্ষের অবহেলায় দুর্ঘটনা অব্যাহত থাকে। আদালতের নির্দেশনার পর জাহাজ ভাঙতে গিয়ে ২০২টি দুর্ঘটনায় ১৯৪ জন শ্রমিকের প্রাণহানি ও ৮৬ জন শ্রমিক পঙ্গু হন। এ ঘটনায় হাইকোর্টে একটি রিট করেন বেলা।