× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একটি খামোশ ধ্বনি

অনলাইন

আতিকুর রহমান সালু
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ২০, ২০১৯, বুধবার, ১২:১৪ অপরাহ্ন

আমরা যেন কেমন নির্জীব হয়ে যাচ্ছি
যুদ্ধ করা বীরের জাতি
নির্জীব হয়ে যাচ্ছি
নির্জীব, নির্জীব,
দানব-দানবী আর
ভূত-পেত্মীর ভয়ে।
শুধুই অজানা আতংকে
কাঁপে বুক দুরু-দুরু।
আরে বেঁচারাম দেউড়ীর
খেলা রামের খেলা
এখনও অনেক বাকি,
এতো সবে শুরু শুরু,
মূল্যবোধের যেখানে
নেমেছে ধ্বস,
ঘুষ যেখানে পায় মন্ত্রীর মদদ।
হাজার কোটি টাকা যেখানে
কোন টাকা নয়।
ছাত্র-ছাত্রী, যুবক-যুবতী
শিক্ষক, গ্রামের সরল কৃষক,
পৌঢ় কিংবা বৃদ্ধ
এখানে সেখানে যখন
হয়ে যায় লাশ
ঘাতকের হাতে, তারা হোক
সন্ত্রাসী অথবা বেপরোয়া
গাড়ীর চালক।
সাগর-রুনীর আত্মা
শুধু কাঁদে আর কাঁদে।
হানা-হানি আর
বিভাজনের অপরাজনীতি
অজগর হয়, গিলে খেতে
চায় সমগ্র দেশটাকে।
গণতন্ত্রের পরম সহিষ্ণুতা
এখন বাষ্পীভূত কর্পুর।
হায় ভাটির দেশের
বাংলাদেশে পানি নাই
ভাটিতে। সব পানি
কে নেয় টেনে উজানে?
মরুভূমির দেশ হতে
আর কত বাকি ভাই?
অসহায় কোটি মানুষের খেদ,
ধনিক বণিকের দেহে
জমেছে কত তেল চর্বী মেদ
আমরা হুংকার দেই
কিন্তু আওয়াজ বড় ম্রিয়মান,
অথচ একাত্তুরের সুমহান মুক্তিযুদ্ধে
আমরা ছিলাম মৃত্যুঞ্জয়ী
সৈনিক, একদিন যারা
মৃত্যুকে করেছি জয়।
আমরা যেন কেমন
নির্জীব হয়ে যাচ্ছি, নির্জীব।
তাবত বৃক্ষরাজীর পাতা
কি হরিদ্রাভ হয়?
অথচ আমরা ছিলাম
সদাই সতেজ সজীব!
তবুও আশাবাদী মন আমার
প্রতীক্ষায় আছি,
ঘনঘোর অমানিশা এবং
দুঃখ রাত্রির অবসানে
সফেদ পাঞ্জাবী পড়ে, আবার
আসবেন তিনি, হলুদ শস্য
ক্ষেতের মেঠো পথ ধরে
শোষন মুক্তির গান গেয়ে
বলবেন, বজ্রনিনাদ কণ্ঠে
’খামোশ’ আর সেই ’খামোশ’
ধ্বনীতে কেঁপে উঠবে হিটলার
মুসলিনী, ফেরআউন ও নমরুদের প্রেতাত্মা!
হে মজলুম মানুষের নেতা
হুজুর ভাসানী,
আরেকটিবার ফিরে এসো তুমি
বজ্রনিনাদ কণ্ঠে আবার বল
খামোশ। আমরা আরেকটিবার
শুনতে চাই তোমার সেই
খামোশ ধ্বনি,
হে হুজুর ভাসানী
মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর