গত ২৯শে সেপ্টেম্বর পিয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। ফলে ভারতীয় পিয়াজের ওপর নির্ভরশীল বাজারগুলোতে সৃষ্টি হয় অস্থিরতা। বাংলাদেশে এখনো ঝাঁজ কমেনি পিয়াজের। তবে সেটি অনেকটাই সামলে নিয়েছে নেপাল। আর এ জন্য তারা নির্ভর করছে চীন থেকে আমদানি হওয়া পিয়াজের ওপর। ফলে অনেক সস্তায় পিয়াজ কিনতে পারছেন নেপালের মানুষ। নেপালের বাজারে ভারতীয় পিয়াজের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার পর থেকে গত কিছুদিন ধরে চীনা পিয়াজ বিক্রি করছেন কাঠমান্ডুর শঙ্খমুল এলাকার সবজি বিক্রেতা উমেশ প্রসাদ গুপ্ত। পিয়াজের জন্য নেপাল ব্যাপকভাবে ভারতের উপর নির্ভরশীল।
কারণ সামান্য স্থানীয় উৎপাদন দেশের চাহিদা মেটাতে পারে না। ভারতীয় পিয়াজের চেয়ে চীনের পিয়াজ সস্তা। তবে চীনা পিয়াজের স্বাদ ভিন্ন হওয়ায় এখনো ক্রেতাদের কাছে তা জনপ্রিয় নয়। তুলনামূলকভাবে রেস্টুরেন্টগুলোতে এই সস্তা পিয়াজের চাহিদা বেশি। নেপালের শুল্ক কর্মকর্তারা জানান যে, ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে নেপালের ব্যবসায়ীরা চীন থেকে পিয়াজ আমদানি শুরু করেন। ভারতীয় পিয়াজ বন্ধ হওয়ার আগে চীন থেকে কোনো পিয়াজ আনা হতো না। কিন্তু সামপ্রতিক সময়ে নেপালে ২৩৮.৫৮ টন চীনা পিয়াজ আমদানি করা হয়েছে। ফলে অনেকে ধারণা করছেন পিয়াজের জন্য ক্রমেই চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠবে নেপাল।