চলন্ত বাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মার্কেটিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোহাগ পরিবহনের সেই বাসের চালকসহ তিনজনকে আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানার বাস টার্মিনাল ও বাহির সিগন্যাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলো- বাসচালক এহসান করিম (২৭), তার সহকারী ফররুখ আহমেদ ভুট্টো (৩৫) ও সুপারভাইজার আলী আব্বাস (৩৫)। তাদের বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার হারবাং গ্রামে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, ফেসবুকে চলন্ত বাসে চবি ছাত্রীর যৌন হয়রানির বর্ণনার বিষয়টি গণমাধ্যমে আসলে আমরা তদন্তে নামি। এ ঘটনায় মেয়েটা এতটাই শকড ছিল যে, তাকে কোথায় নামিয়ে দেয়া হয়েছে, তিনি বুঝতে পারেননি। বাসের নম্বরও তিনি মনে করতে পারছিলেন না। মামলাও করেননি। মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছিলেন। আমরা শাহ আমানত সেতুর পর থেকে দুই নম্বর গেইট পর্যন্ত বিভিন্ন সপটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে বাসটি শনাক্ত করি।
বাসটির নম্বর ঢাকা মেট্রো ব-১৫৬০৭৭।
সেখানে দেখা যায়, মেয়েটিকে নতুন চান্দগাঁও থানার অদূরে বাস টার্মিনালের পেছনদিকে একটি নির্জন স্থানে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। বাসটি শনাক্তের পর এর চালক, সহকারী ও সুপারভাইজারের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
তিনি বলেন, মূলত বাসের সুপার ভাইজারের লালসার শিকার হতে যাচ্ছিলেন চবির ছাত্রীটি। এ কাজে সহযোগিতা করছিল হেলপারও। তবে চালকের সম্মতি থাকলেও ছাত্রীটির সাহসী ভূমিকা ও চিৎকার চেঁচামেচির কারণে ভয় থেকেই তাকে নির্জনস্থানে নামিয়ে দেয়া হয়।
গত ২৭শে নভেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে নগরীর ২নং গেইট এলাকায় সোহাগ পরিবহনের বাসে ওই শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির শিকার হন। ওই ঘটনার পুরো বিষয়টি বর্ণনা করে ওই শিক্ষার্থী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।