দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ধর্ষণের শিকার হয়ে আবিদা সুলতানা মিম নামের সাড়ে ৩ বছরের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। নিহত শিশু মিম ওই গ্রামের আরিফুল ইসলামের মেয়ে।
বাবা আরিফুল ইসলাম ও মা নাসরিন জাহান জানান, একই গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে আমজাদ হোসেন (২০) শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। শনিবার দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিট থেকে শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমজাদের বাড়িতে গেলে তালাবদ্ধ দেখতে পাওয়ায় পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসী ঘরের দরজা ভেঙে টেবিলের নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশুকে উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিক গ্রামবাসীর সহায়তায় পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরই মধ্যে আমজাদ হোসেন পালিয়ে যায়। পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মো. আলম মিয়া রাত সাড়ে ৯টায় জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তার পরনের কাপড় ছিল রক্তে ভেজা। পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-ওসি (তদন্ত) মো. সোহেল রানা শিশুটির ধর্ষণ ও মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশুটিকে আমজাদ হোসেনের শয়নকক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমজাদই শিশুকে ধর্ষণ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
মেয়েটির মামা আবু সায়েম জানান, ওই যুবকের বাড়ির পাশে মিমসহ তার বন্ধুরা খেলতে গেলে ওই যুবক জানালা দিয়ে মিমকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে নিয়ে যায়। এই কথা জানায়, একই এলাকার রাশেদুল ইসলামের ছেলে জিহাদ (৫)। তার কথার ভিত্তিতে মিমের পরিবার আমজাদের বাড়িতে গেলে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পাওয়ায় পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসী ঘরের দরজা ভেঙে টেবিলের নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশুকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে পার্বতীপুর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আমজাদ হোসেনকে খুঁজছে।