প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, মার্কিন কংগ্রেসে আগামী বুধবার এই শুনানি হবে। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব পাসের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে এই শুনানিতে। কিন্তু ট্রাম্পের এটর্নি জানিয়ে দিয়েছেন হোয়াইট হাউজ এতে অংশগ্রহণ করবে না। প্রতিনিধি পরিষদের জুডিশিয়ারি কমিটির ডেমোক্রেট দলীয় চেয়ারম্যান জেরি ন্যাডলারকে এ বিষয়ে একটি চিঠি লিখেছেন হোয়াইট হাউজের কাউন্সেল প্যাট সিপোলোনে। তাতে তিনি বলেছেন, এখনও পর্যন্ত সাক্ষীদের নাম ঘোষণা করা হয় নি। অতিরিক্ত শুনানির মাধ্যমে জুডিশিয়ারি কমিটি কি প্রেসিডেন্টকে ন্যায়বিচার দিতে সামর্থ রাখে কিনা তা নিয়ে এখনও অস্পষ্টতা রয়েছে। ফলে এমন শুনানিতে আমরা অংশগ্রহণ করবো না।
তিনি এতে আরো লিখেছেন, বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বুধবারের শুনানিতে আমাদের অংশ নেয়ার ইচ্ছা নেই।
উল্লেখ্য, আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নভেম্বরের সেই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রধান প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেট দল থেকে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অভিযোগ আছে, তার বিষয়ে দুর্নীতির তদন্ত করতে ইউক্রেনকে চাপ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি যেন এই তদন্ত করতে বাধ্য হন এ জন্য তার দেশকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন ট্রাম্প। অবৈধ উপায়ে তিনি ওই সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর প্রতিনিধি পরিষদ তদন্ত শুরু করে। প্রতিনিধি পরিষদ রয়েছে ডেমোক্রেটদের দখলে। এর স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তিনিই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করেন। এরই মধ্যে কয়েক দফা শুনানি হয়েছে। তাতে বিস্ময়কর সব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ফলে বেশ চাপের মুখে রয়েছেন ট্রাম্প।
এমন অবস্থায় বুধবার নতুন করে বৈঠকে বসছে প্রতিনিধি পরিষদের জুডিশিয়ারি কমিটি। তাতে নতুন করে শুনানি হবে। এতে নির্ধারণ করা হবে ‘রাষ্ট্রদ্রোহীতা, ঘুষ দেয়া, অন্যান্য উচ্চ মাত্রার অপরাধ ও অপকর্ম’ করেছেন কিনা ট্রাম্প। তদন্তে এসব বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় কিনা তা নির্ধারণ করা হবে ওই শুনানিতে। যদি তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে কমিটি কমপক্ষে চারটি পয়েন্ট বিবেচনা করতে পারে অভিশংসনের জন্য। তার মধ্যে রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ, কংগ্রেসকে অবমাননা ও বিচার ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি।