ব্রাহ্মণবাড়িয়া খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার ডিউক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা হয়েছে। পাওনা টাকার জন্যে এক রাজমিস্ত্রির সর্দার বাদী হয়ে গতকাল সোমবার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে সদর মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এরআগে ১২ই নভেম্বর নওশীন আহমেদ দিয়া (২৯) নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে ভুল চিকিৎসা এবং ভুল ইনজেকশন ও ওষুধ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগে ডিউক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় হাসপাতালের অপর ২ চিকিৎসক অরুনেশ্বর পাল অভি ও মো. শাহাদাত হোসেন রাসেলও আসামি। আর এবার ডিউকের হাসপাতাল বিল্ডিংয়ের ঠিকাদার তার পাওনা টাকার জন্যে মামলা করলেন। চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার হামিদপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রির সর্দার মো. তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দায়ের করা এ মামলার অভিযোগে বলা হয় ২০১৫ সালের ৭ই মে ডাক্তার ডিউক চৌধুরীর সঙ্গে তার বিল্ডিং নির্মাণের চুক্তি হয়। আন্ডার গ্রাউন্ডের যাবতীয় কাজসহ গ্রাউন্ড ফ্লোর প্রতি বর্গফুট ২৮০ টাকা এবং বাকী প্রতিছাদ ১৭৫ টাকা বর্গফুট হারে কাজ করার চুক্তি হয়।
এরপর ২০১৫ সালের ৫ই জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১১তলা দালান নির্মাণ সম্পন্ন হয়। এতে মো. তরিকুল ইসলাম ১ কোটি টাকা বিল পাওনা হন।
এরমধ্যে ডিউক ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি সাড়ে ৭ লাখ টাকা প্রদান না করে তাকে ঘুরাতে থাকেন। তরিকুল ইসলাম জানান- টাকা চাইলে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। তাকে পুলিশের ভয় দেখান। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী শরীফ উদ্দিন জানান- আদালত মামলাটি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে সদর মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।