চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার ঝাউতলায় ডিজেল কলোনির নিজ বাসায় গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মচারীর লাশ পেয়েছে পুলিশ। তার স্বামীও একই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার সকাল ৯টার দিকে পুলিশ বাসা থেকে রোজী আক্তারের (২০) লাশ উদ্ধার করে বলে জানিয়েছেন খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী। ওসির ধারণা, স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়েছে স্বামী। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। স্বামী রেজাউল করিম (২৮) খুলশী ঝাউতলা এলাকায় বেসরকারি পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটির প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের মসজিদ্দ্যা গ্রামের বুদরুজ ড্রাইভারের বাড়ির আবুল মনসুরের ছেলে।
ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, তাদের বাসা নগরীর ঝাউতলার রেলওয়ে ডিজেল কলোনির জনৈক আবুল কাশেমের ভাড়াঘরে ৮৪২/বি নম্বর কক্ষে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রেজাউল করিম ও রোজী আক্তারের বিয়ে হয়। মার্চে তারা ওই বাসা ভাড়া নেন। তাদের বাসার পেছনে দুই বাসা পরে রোজী আক্তারের আপন বোনের বাসা আছে। প্রতিদিন দুপুরে ও রাতে তারা বোনের বাসায় ভাত খেতেন। রোববার রাতেও ভাত খেয়ে দুজন নিজের বাসায় আসেন। সোমবার সকালে বাসায় এসে রোজীর লাশ দেখতে পান তার বোন। ওসি জানান, রোজী আক্তারের হাত বাঁধা, গলায় তার পেঁচানো এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাসায় স্বামী রেজাউল নেই। মনে হচ্ছে সে পলাতক, সে-ই হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার করতে পারলে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের বিষয় জানা যাবে।