× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ধর্ষকের জবানিতে লোমহর্ষক বর্ণনা

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকে
৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার

পার্বতীপুরে সাড়ে ৩ বছরের শিশু আবিদা সুলতানা মিম ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি ধর্ষক আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোবাইল ট্র্যাকিং-এর মাধ্যমে গতকাল দুপুরে রংপুর মডার্ন মোড় নামক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর সে সাড়ে ৩  বছরের শিশু আবিদা সুলতানা মিম ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনার স্বীকারোক্তি পুলিশ এবং আদালতে দিয়েছে। পরে তাকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান। ধর্ষক আমজাদ হোসেন পলাতক থাকায় এর আগে এঘটনায় ধর্ষকের দাদী মোমেনা (৬০) ও চাচা শাহিনুর (৪০)কে আটক করে পুলিশ। ধর্ষক আমজাদ হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দীতে জানায়,ওইদিন মিমসহ তার কয়েকজন সঙ্গী বন্ধুরা দুপুরে তার বাড়ির পাশে খেলছিলো। সে  মিমকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। পরে কয়েকবার পর্যায়ক্রমে ধর্ষন করে।
মিম প্রথমবারে চিৎকার শুরু করলে সে মুখ চেপেধরে তারপরও পর্যায়ক্রমে আবারো কয়েকবার ধর্ষন করে। এতে নেতিয়ে পড়ে মিম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় মিমের। সে তা বুঝতে পেরে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ে। রাত হলে মিমের লাশ অন্য কোথাও ফেলে দিবে বলে মনে মনে বুদ্ধি পাকায়। কিন্তু এরই মধ্যে মিমের নিখোঁজ সংবাদ মাইকে প্রচার ও খোঁজা-খুজি শুরু হলে সে পাশ্বের গ্রামে পালিয়ে যায়। এবং জানতে পারে তার বাড়িতে ঘরের তালাবদ্ধ দরজা ভেঙ্গে পুলিশ ও এলাকাবাসী মিমের লাশ উদ্ধার করেছে। তাই সে পালিয়ে যায়। শিশুটির বাবা আরিফুল ইসলাম ও মা নাসরিন জাহান জানান, গত শনিবার দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিট থেকে মিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুজির পর আমজাদের বাড়িতে গেলে তালাবদ্ধ দেখতে পাওয়ায় পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসী ঘরের দরজা ভেঙ্গে টেবিলের নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশুকে উদ্ধার করে। তাৎক্ষনিক গ্রামবাসীর সহায়তায় পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর