× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মৌলভীবাজার আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ কাউন্সিল স্থগিত

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। তবে সম্মেলন শুরুর আগে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী কাউন্সিল অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল পৌর জনমিলন কেন্দ্রে সম্মেলন শেষে বিকালে কাউন্সিল  অধিবেশন শুরু হওয়ার পূর্বেই তা স্থগিতের ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। সেই সঙ্গে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে সভাপত্বি করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল আহমদ, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আনকার আহমদ। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুর রহমান ও প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও  পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন  প্রমুখ।
দীর্ঘ ১৪ বছর পর ছিল গতকাল মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল। জানা যায়, ২০০৫ সালের ১২ই ডিসেম্বর ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হয়। আর পুরো কমিটি অনুমোদন পায় ২০০৬ সালের ৫ই মে । তখন জেলা সভাপতি ছিলেন প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসীন আলী ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মরহুম আব্দুল ওয়াদূদ।
কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছিল তারা হলেন- বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনকার আহমদ, আকবর আলী, আক্তারুজ্জামান, আবু সুফিয়ান, আব্দুল মালিক তরফদার শোয়েব, মুজিবুর রহমান মুজিব প্রমুখের। কাউন্সিল স্থগিত হওয়ায় হতাশ হয়েছেন নেতাকর্মীরা।
এদিকে সম্মেলন চলাকালীন ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গতকাল দুপুরে পৌর জনমিলন কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় এক গ্রুপের নেতাকর্মীরা অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীদের দিকে চেয়ার ছোড়ে মারেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সম্মেলন স্থলের জানালার গ্লাস ভাঙার ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আসতে থাকে সম্মেলন স্থল পৌর জনমিলন কেন্দ্রে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে জনমিলন কেন্দ্রে বাড়তে থাকে নেতাকর্মীদের ভিড়। দুপুরে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য শুরু হওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের নিজ বলয়ের নেতাদের পক্ষে স্লোগান দিতে শুরু করে। বেশ কয়েকবার মঞ্চ থেকে তাদের স্লোগান দিতে বারণ করা হয়। কিন্তু তারা স্লোগান দেয়া বন্ধ করেননি। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান তার বক্তব্য শুরু করলে সম্মেলনের প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আহমদ হোসেন সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য বার বার আহবান জানান। সংঘর্ষ বন্ধ না করলে সম্মেলন স্থল ত্যাগ করারও ঘোষণা দেন তিনি। এঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে অভিযুক্ত করেছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী  ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে বক্তারা তাদের বক্তব্য শুরু করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর