× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আরেক নৃশংস ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) ডিসেম্বর ৩, ২০১৯, মঙ্গলবার, ১:৫৬ পূর্বাহ্ন

তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে একজন পশুচিকিৎসককে গণধর্ষণ ও হত্যাকান্ড নিয়ে সারা ভারত যখন ক্ষোভে উত্তাল ঠিক তখনই মধ্যপ্রদেশে ঘটে গেছে গায়ে শিহরণ সৃষ্টিকারী আরেক ধর্ষণের ঘটনা। শুধু ধর্ষণই নয় মাত্র চার বছর বয়সী একটি মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মহৌ’তে সোমবার রাতে ব্যস্ততম সময়ে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। মহৌ-এর পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ অভয় বর্মা বলেছেন, মাত্র চার বছর বয়সী ওই মেয়ে শিশুটি মহৌ’তে তার পিতামাতার সঙ্গে রাস্তার পাশে রাতের ব্যস্ততম সময়ে একটি ওভারব্রিজের কাছে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তাকে অপহরণ করা হয়। সেখানেই থেমে থাকেনি নরপিশাচরা। তারা তাকে প্রহার করে।
ধর্ষণ করে। তারপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

রাতে সবাই ঘুমিয়ে থাকায় তার নিখোঁজ বা অপহরণের বিষয়টি বুঝতে পারেননি পরিবারের কোনো সদস্য। সকালে ঘুম থেকে জেগে তারা তাকে খুঁজতে থাকেন। না পেয়ে দ্বারস্থ হন পুলিশের। অভিযানে নামে পুলিশ। অল্প সময় পরেই তারা শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায় প্লাস্টিকে প্যাচানো অবস্থায় একটি হাসপতালের কাছে পরিত্যক্ত একটি ভবনে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এতে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. রুপালি যোশি এবং শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম কে মাহোবিয়া ওই মৃতদেহ পরীক্ষা করেছেন। তারা রিপোর্টে বলেছেন, শ্বাসরোধ করে হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার মাথায় অনেক আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন চিকিৎসকরা। বলা হয়েছে, এসব চিহ্ন বলে দেয়, ধর্ষণ ও হত্যার আগে বেদমভাবে তাকে প্রহার করেছে নরপিশাচরা। এর সঙ্গে বেশ কিছু মানুষ জড়িত।

পুলিশ সন্দেহ করছে এর সঙ্গে জড়িত একাধিক মানুষ। হয়তো তাদেরকে ধর্ষিত শিশুর পরিবার চেনে। তাই তারা শিশুটিকে মেরে ফেলেছে। এ ঘটনায় তার পরিবারের সদস্য ও আশপাশের মানুষের বক্তব্য রেকর্ড করছে পুলিশ। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে দেখছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরীক্ষা করেছেন মহৌ-এর অতিরিক্ত এসপি ধর্মরাজ মীনা ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। তদন্ত টিমকে নিয়ে বৈঠক করেছেন ইন্দোরের এসএসপি রুচি বর্ধন মিশ্র। তিনি তদন্তের ওপর নজরদারি করছেন। এ ঘটনায় অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

২০১৭ সালের ২৮ শে জুন একই স্থানে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে শিশুকে অপহরণ করা হয়। সেও একটি সেতুর নিচে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘুমাচ্ছিল। ওই সময় তাকে অপহরণ করা হয়। তাকে আহত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল রেললাইনের পাশে। নেয়া হয়েছিল হাসপাতালে। তাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর