× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটের শাহী ঈদগাহে সিনেমার শুটিং কানন ফিল্মস’র ক্ষমাপ্রার্থনা

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
৪ ডিসেম্বর ২০১৯, বুধবার

সিলেট নগরীর শাহী ইদগাহে গত ২৮শে নভেম্বর ‘ইত্তেফাক’ নামক সিনেমার একটি ছোট্ট দৃশ্যের শুটিং হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্মিতা প্রতিষ্ঠান কানন ফিল্মস-এর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে সমালোচনা এবং এ নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ধর্মপ্রাণ সিলেটবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুটিংয়ের বিষয় নিয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজক রায়হান রাফি স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাহী ঈদগাহে যে দৃশ্য ধারণ করা হয় সেটি ছিল নামাজের। ঈদগাহ ইসলাম ধর্মের একটি পুণ্যময় স্থান। একজন তরুণের অন্ধকার থেকে আলোর পথে, ইসলাম ধর্মের পথে ফিরে আসাকে তুলে ধরতেই মূলত পুণ্যময় এই স্থানকে বেছে নেয়া হয়। এখানে দু’রাকাত নামাজের একটি দৃশ্য ধারণ করা হয়।
এভাবে একজন মানুষ অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরে আসায় পূর্ণাঙ্গতা ও ধর্মীয় মাধুর্যতা দেখানো হয়েছে। কোনোভাবেই সেখানে নাচ-গান বা সিনেমার অন্য কোনো দৃশ্য ধারণ করা হয়নি। এর প্রশ্নই আসে না। আমরাও মুসলিম এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমান। ঈদগাহের মতো একটি পূণ্যময় ইবাদতখানার মর্যাদা রক্ষায় আমরা আন্তরিক। সেখানে এমন কিছু হোক যাতে ঈদগাহের পবিত্রতা নষ্ট হয়, তা আমরা করার স্পর্ধা দেখাবো না। কিন্তু এই ঘটনাকে প্রচার করা হয়েছে অন্যভাবে। কোনো কোনো পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হয়েছে, শুটিংয়ের সময় সেখানে নাচ-গানের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। যা প্রকৃত ঘটনার সম্পূর্ণ বিপরীত। এ রকম প্রচারণার কারণে সিলেটের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মনে আঘাত লেগেছে। তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমরাও মনে করি, যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবে ঈদগাহকে ব্যবহার করা হলে, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে আঘাত লাগারই কথা। তারা ক্ষুব্ধই হবেন। কিন্তু আসল ঘটনা তা নয় বলে আমরা মর্মাহত হয়েছি। নামাজের দৃশ্য মসজিদ বা ঈদগাহে হলে সেটিই প্রকৃত মর্ম উপস্থাপন করবে- এমনটি মনে করেই মূলত ঈদগাহে শুধু ৩ মিনিটের নামাজের একটি দৃশ্য ধারণ করা হয়। এমন কি আমরা ঈদগাহের পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থে জুতা খুলেও প্রবেশ করেছি। তবুও নামাজের দৃশ্য ধারণের শুটিংয়ের জন্য ঈদগাহ ব্যবহার করায় শাহজালাল-শাহপরাণ (র.)-এর স্মৃতিবিজড়িত সিলেটের ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজ আমাদের উপর ক্ষুব্ধ হলে বা ধর্মীয়ভাবে আঘাত পেলে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত, মর্মাহত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর