ইসরাইলি আগ্রাসনে ২০০০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ক্ষতি হয়েছে ৪৭.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সমপ্রতি জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনের এই অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টি উঠে এসেছে। এতে জানানো হয়েছে, ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনের যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা ২০১৭ সালে দেশটির অর্থনীতির অন্তত তিনগুণ। এ খবর দিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
সোমবার জেনেভাতে বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘের এক সম্মেলনে এই প্রতিবেদনটি উত্থাপন করা হয়। এ নিয়ে আলোচনা করেন অর্থনীতিবিদ মুতাসিম এলাগ্রা। তিনি বলেন, গত এক দশক ধরে জাতিসংঘ ফিলিস্তিনের অর্থনীতির এই বাধাটি নিয়ে গবেষণা করে আসছে। মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনেও তোলা হবে।
আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর এই ইস্যুতে প্রশ্ন তোলা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিবেদনে ইসরাইলি আগ্রাসনকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার খর্বের ইস্যুটি। আঙ্কটাডের হিসেবে, এ কারণেই সব থেকে বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে ফিলিস্তিন। এ ছাড়া বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনে উৎপাদিত পণ্যের রপ্তানির ওপর নানা প্রকার বাধা রয়েছে। পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় ফিলিস্তিনিদের নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যার ফলে তাদের স্বাভাবিক কাজ ও উৎপাদনের সক্ষমতা কমে আসছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের মানুষ তাদের জমি, প্রাকৃতিক সমপদ ও মানবসমপদকে কাজে লাগাতে পারছে না। ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে ফিলিস্তিনের অর্থনীতি নানা সুযোগ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনের পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ফিলিস্তিনের অর্থনীতির স্বার্থে দুই পক্ষের মধ্যে একটি টেকসই চুক্তির প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জাতিসংঘ সব সময়ই এখানে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে। একমাত্র এই সমাধানের মধ্যদিয়েই এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। জাতিসংঘ একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবে। যেটি প্রতিবেশী ইসরাইলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করবে।