× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
৪ ডিসেম্বর ২০১৯, বুধবার

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের শিক্ষানবিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান রুবেলের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন সদ্য বিয়ে হওয়া স্ত্রী ফারজানা খানম রিনি। গত সোমবার (২রা ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। ফারজানা খানম রিনির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত আসামি মাসুদুর রহমান রুবেলকে ২৯শে জানুয়ারি হাজির হতে সমন জারি করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রিমি ও মাসুদের দীর্ঘদিনের পরিচয় ও প্রেম ছিল। শেষে চলতি বছরের ২০শে সেপ্টেম্বর তারা পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন। মাসুদ রিমিকে বিয়ের কথা গোপন রাখতে বলেন এবং পরে পারিবারিকভাবে সবার সম্মতিক্রমে সামাজিক মর্যাদা দিয়ে রিমিকে ঘরে তুলবেন বলে জানান। দামপত্য জীবনে রিমি-মাসুদের আসল রূপ বুঝতে পারেন। একমাস ধরে সরকারি চাকরি ও সামাজিক মর্যাদা অনুসারে মাসুদ-রিমির বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক বাবদ নগদ ৫০ লাখ টাকা, একটি ফ্ল্যাট, একটি নতুন প্রাইভেটকার ও ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এনে দিতে বলেন।
এর জন্য রিমিকে চাপ প্রয়োগ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। মাসুদের পরিবারের যৌতুক দেয়ার ক্ষমতা নেই মর্মে জানিয়ে দিলে মাসুদ তাকে নিয়ে সংসার করবে না বলে জানান এবং মোটা অংকের টাকা নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করার হুমকি দেন। ফারজানা খানম রিনি আদালতে এ বিষয়ে জবানবন্দি দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, মাসুদুর রহমান গত ২৯শে নভেম্বর আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে অন্যত্র বিয়ে করার হুমকি দেন তিনি। যৌতুক চেয়ে তিনি আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে একাধিকবার নির্যাতনও করেছেন। আদালতে এই জবানবন্দি দেয়ার পর মাসদুর রহমান রুবেলের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। শিক্ষানবিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান রুবেল এ বিষয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে দায়ের করা মামলাটি সমপূর্ণ মিথ্যা। পারিবারিক কলহের কারণে আমাদের বিরোধ দেখা দেয়। বিষয়টি পারিবারিকভাবেও সমাধান করার চেষ্টা করেছি, হয়নি। তাই তাকে ডিভোর্সের নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এরপর মূলতঃ আমার নামে মিথ্যা মামলাটি করা হয়। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন আগে মেয়েটি আমাকে ফোনে পারিবারিক কলহের কথা জানিয়েছিল। তবে আমি নির্দেশনা দিয়েছিলাম সবকিছু ঠিক করে নেওয়ার। পরে আর যোগাযোগ না হওয়ায় আমি ভেবে ছিলাম সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে। তবে মামলার বিষয়টি জানার পর আমি অভিযুক্তকে তাৎক্ষণিকভাবে সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর