× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এক ফোঁটা রক্ত বলে দেবে আপনি ক্যান্সার আক্রান্ত কিনা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) ডিসেম্বর ৪, ২০১৯, বুধবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

মাত্র এক ফোঁটা রক্ত। ব্যাস, তা পরীক্ষা করেই একটি মেশিন বলে দেবে আপনি ক্যান্সারে আক্রান্ত কিনা। ওই এক ফোঁটা রক্ত পরীক্ষা করে মেশিনটি ১৩ রকমের ক্যান্সার সনাক্ত করবে। এর ফলে প্রাণঘাতী ক্যান্সার রোগিদের অথবা ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের সামনে নতুন এক আশার আলো জ্বলে উঠেছে। এই মেশিনটি আবিষ্কার করেছে প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান তোশিবা। মেশিনটির নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। আগামী বছরে এটি বাজারে আসার কথা রয়েছে। রক্ত পরীক্ষায় মেশিনটির সময় লাগে মাত্র দুই ঘন্টা।
১৮০ ডলার খরচে পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা করাতে পারবেন একজন মানুষ। পরীক্ষার ফল হবে শতকরা ৯৯ ভাগেরও বেশি সঠিক। জাপানের দ্য মাইনিচি’তে প্রকাশিত রিপোর্ট উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন টমস গাইড। এ ছাড়া এ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জাপান টাইমস। এই মেশিন ব্যবহার করে যেসব ক্যান্সার নির্ণয় করা যাবে তার মধ্যে অন্যতম গ্যাস্ট্রিক, খাদ্যনালী, লিভার, পিত্তথলি, অগ্নাশয়, বাওয়েল বা অন্ত্র, গর্ভাশয়, মূত্রথলির গ্রন্তি, মূত্রথলি, স্তন ক্যান্সার, সারকোমা ও গ্লিওমা ক্যান্সার। এক্ষেত্রে একটি কথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো ক্যান্সারের চিকিৎসার চেয়ে তা আগেভাগে সনাক্ত করিয়ে প্রতিকার নেয়া উত্তম। বর্তমানে ক্যান্সার সনাক্ত করতে রক্ত পরীক্ষায় চিকিৎসকদের প্রয়োজন হয় বিপুল পরিমাণ রক্ত (কয়েক হাজার মিলিলিটার রক্ত) ও খরচ পড়ে বহু অর্থ। সে তুলনায় তোশিবার এই মেশিনে প্রয়োজন হয় মাত্র এক ফোঁটা রক্ত বা ৫০ মাইক্রোলিটার রক্ত। তোশিবার ফ্রন্টিয়ার রিসার্চ ল্যাবরেটরির প্রধান গবেষক বিজ্ঞানী কোজি হাশিমোতো এক সংবাদ সম্মেলনে এই মেশিনটি সম্পর্কে ঘোষণা দিয়েছেন। আগের গবেষণার ওপর তোরে ইন্ডাস্ট্রিজ এই মেশিনটি উদ্ভাবন করেছে। এই কোম্পানিটি গত জুনে ঘোষণা দিয়েছিল যে, তারা ক্যান্সার সনাক্তকারী একটি নতুন চিপ নিয়ে আসছে, যা হবে অন্যান্য চিপের চেয়ে ১০০ গুণেরও বেশি সেনসিটিভ। মেশিনটি তৈরি করা হয়েছে ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার রিসার্চ সেন্টার এবং টোকিও মেডিকেল ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায়। মেশিনটি আগামী বছর পরীক্ষামুলকভাবে ব্যবহার শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যেই এটি বাজারে পাওয়া যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর