× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সৌদি আরবে মরিয়মের আর্তনাদ

এক্সক্লুসিভ

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
৫ ডিসেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

‘দেশবাসীর কাছে আমি জীবন ভিক্ষা চাই। আমার লেখা-পড়া নাই। আমি নির্যাতনের ভিডিও ছাড়তে পারি না। আমারে ওয়ার দিয়া খুব মারে, আমার শরীরের লজ্জা স্থানগুলোতে ওয়ার দিয়া মারে। পুরা দেশবাসীর কাছে আমি জীবন ভিক্ষা চাই। আমারে বাঁচাও। আমারে সৌদি থেকে লইয়া যাও। আমারে বাংলাদেশে লইয়া যাও।
আমি জীবন ভিক্ষা চাই।’
‘আমি বাঁচতাম না, আমারে বাইচ্চা থাকতে কেউ নিল না দেশও। আমি বাইচা দেশ আইতাম না। ওইটা খারইতে পারি না। কিতা কাম করতাম। আমি বাঁচতাম না। আমি মইরা যামু এই দেশও। আমার শরীরের অবস্থা খুব খারাপ। আমার গ্রামে এমন মানুষ নাই যে আমারে দেশে নিয়ে যাবে।’
আমার দুই বাচ্চার কেউ নাই। দুই বাচ্ছার লাইগা আইয়া আমি বিপদে পড়ছি। আতিকুলা দালালে আমারে সৌদির অফিসও ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে।”
সৌদি আরবে মরিয়ম আক্তার নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি নারী নির্যাতনের হওয়ার এমন খবর পাওয়া গেছে। মরিয়ম আক্তার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা ২ নং ভুনবীর ইউনিয়নের আঐ গ্রামের তৈয়ব আলীর মেয়ে। জানা যায়, গ্রামের আতিকুল দালালের মাধ্যমে চলতি বছরের ফ্রেরুয়ারিতে জীবিকার তাগিদে দুই ছেলেকে দেশে রেখে সৌদি আরব পাড়ি জমান মরিয়ম আক্তার। সেখানে মরিয়ম একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন।
সামপ্রতিক তার নির্যাতন ও যৌন হয়রানির কথা জানিয়ে একটি ভিডিও কান্নাজড়িত কণ্ঠে পরিবারে সদস্যদের পাঠালে পরিবারের সদস্যরা দালাল, গ্রামের মেম্বার, মুরব্বিদের জানিয়েও দেশে ফেরাতে পারছেন না মরিয়মকে। এদিকে, তৈয়ব আলীর মেয়ে মরিয়র আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের পর তিনি জানান, যে সৌদিতে মরিয়মের ওপর অমানুষিক,  শারীরিক-মানসিক ও যৌন নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন নির্যাতিত মরিয়ম আক্তারের মা জামিলা বেগম।
মরিয়মের মা বলেন, আমার মেয়েরে বিদেশে নিয়ে বেচে দিয়েছে আতিকুল। তার কাছে গেলে সে ২ লাখ টাকা চায়। আমার মেয়েরে তারা খানি দেয় না, ডাক্তার দেখায় না কামের লাইগা মারে। আমার মাইয়া মুইরা যাইব। সরকারের কাছে আমার জানাই আমার মেয়েটারে দেশে বাইছা থাকতে যেন আই না দেয়।
নির্যাতনের বিষয়ে আতিকুলে সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানায়, আমারে নির্যাতনের ভিডিও, রেকর্ড দেখাইছে তারা বলছে আমি দেশে ফিরাই আইনা দিতাম। আমার পক্ষে দেশে আনা সম্ভব না। আমি ঘর পাল্টাই দিতে পারবো। আমি খুঁজ নিয়েছি এগুলো মিথ্যা কথা বলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর