গ্রুপিং-কোন্দলের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না বিয়ানীবাজার বিএনপি। দলটির স্থানীয় কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে সম্মেলনকালীন আহ্বায়ক মনোনয়ন নিয়েও নতুন করে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে তারা। এই পদের প্রার্থী বাছাই করতে জেলায় বিয়ানীবাজারের সব ক’টি ইউনিয়নের সভাপতি-সম্পাদককে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে মতামত নেয়া হলেও অদৃশ্য চাপে আটকে আছে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে একপক্ষ ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ এবং অপরপক্ষ অ্যাডভোকেট জুবায়ের খানকে পছন্দ করে। তবে ইউনিয়নের সভাপতি-সম্পাদকের প্রকাশ্যে মতামতে এগিয়ে আছেন জুবায়ের খান। যদিও তাকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসন থেকে গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ফয়ছল আহমদ চৌধুরী। আহ্বায়ক হিসেবে তার পছন্দকেও গুরুত্ব দিচ্ছে জেলা বিএনপি। দলের আসন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির কথা বিবেচনায় নিয়ে ফয়ছল চৌধুরী উভয়পক্ষের সমন্বয়ে আহ্বায়ক নির্বাচন করতে চাইছেন।
আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপি নেতা আখতার হোসেন খান জাহেদ বলেন, চলতি সপ্তাহে জেলা কমিটি স্থানীয় আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করতে পারে।
দলীয় সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির আসন্ন কাউন্সিলে সভাপতি পদে নজমুল হোসেন পুতুল, জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল হোসেন, আব্দুছ ছবুর এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আখতার হোসেন খান জাহেদ ও ছিদ্দিক আহমদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। পৌর বিএনপিতে সভাপতি পদে আবু নাছের পিন্টু, মিজানুর রহমান রুমেল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে গিয়াস উদ্দিন ও কবির আহমদের নাম আলোচনায় রয়েছে।
সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম জানান, সিলেটের সব ক’টি উপজেলায় একযোগে কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে আমরা কমিটি ঘোষণার আগে ব্যাপক যাচাই-বাছাই করছি। যারা আন্দোলন-সংগ্রামে সামনের দিকে থাকবে, তারাই কমিটিতে স্থান পাবে বলে জানান তিনি।