× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘নাটকের সামগ্রিক অবস্থা ভালো নেই’

বিনোদন

এন আই বুলবুল
৫ ডিসেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

চলতি বছরে আমাদের নাট্যাঙ্গনে বলার মতো কোনো পরিবর্তন আমার চোখে পড়ছে না। এক কথায় বলতে গেলে আমরা নাট্যাঙ্গনকে কোনোভাবেই ভালোর পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারছি না। তবে আমাদের নাটকের সামগ্রিক অবস্থা ভালো নেই। এটা সবার মধ্যে চলতি বছরে বোধোদয় হয়েছে। এ অবস্থা থেকে সবাই উত্তরণও চায় বুঝতে পারছি। এভাবে ছোট পর্দার চলতি বছর নিয়ে নিজের অনূভূতি জানালেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি ও অভিনেতা-নির্মাতা সালাহউদ্দিন লাভলু। চলতি বছর অনেক নির্মাতার অভিযোগ শিল্পীদের সম্মানী নিয়ে। টিভি চ্যানেলগুলো যাদের নাটক চায় সেসব শিল্পীর সম্মানী বাজেটের তুলনায় বেশি বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।
এ বিষয়টিকে লাভলু কীভাবে দেখছেন? তিনি বলেন, এটি সত্যি, শিল্পীদের সম্মানী অযৌক্তিক হারে বেড়েছে। কিন্তু সেটা কয়েকজন শিল্পীর। কয়েকজনকে দিয়ে তো ইন্ডাস্ট্রি চলতে পারে না। যেখানে নাটকের বাজেট কমছে সেখানে একজন শিল্পী কীভাবে সম্মানী এভাবে বাড়াতে পারেন আমার জানা নেই। আমি বিশ্বাস করি যারা বেশি সম্মানী নিচ্ছেন তারা একদিন বুঝতে পারবেন কতটা সঠিক ছিলেন তারা। চলতি সময়ে কোন বিষয়টি এ নির্মাতা ও অভিনেতার কাছে খুব বেশি বিব্রতকর মনে হয়? লাভলু বলেন, কয়েকদিন কাজ করলেই কেউ শিল্পী হয়ে যায় না। দু’চার দিন যারা কাজ করছে তাদের যদি শিল্পী বলি তাহলে ববিতা, সূবর্ণা মুস্তাফা, ডলি জহুর, মামুনুর রশিদ তাদেরকে কী বলবো? সোস্যাল মিডিয়ার ভিউ দেখে কেউ যদি তাকে শিল্পী ভাবা শুরু করে তাহলে কী বলার থাকে? সোস্যাল মিডিয়ায় ভিউ আছে এমন অনেকে আজকাল অভিনয় করছে। ক্যারিয়ারের দীর্ঘ এ সময়ে দেখেছি এমন অনেকে এসেছে। আবার তারা হারিয়েও গেছে। টিভি নাটকে শৃঙ্খলা ফেরাতে সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু আশানুরূপ ফল হয়নি। গেল অক্টোবরে টেলিভিশন নাটকের অসংগতি দূর করতে একসঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে চারটি সংগঠন। এগুলো হলো টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ডিরেক্টরস গিল্ড, অভিনয় শিল্পী সংঘ ও টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ। এরইমধ্যে এ চারটি সংগঠন নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কেমন কাজ হচ্ছে জানতে চাইলে লাভলু বলেন, আমরা তিন মাসের সময় নিয়েছি। এসময় সবাইকে নিয়মনীতি মেনে কাজ করার জন্য অনুরোধ করছি। তিন মাসের পর যদি কেউ নিয়ম না মানে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো। লাভলু এখন কুয়াকাটায় আছেন বলে জানান। সেখানে আসছে ঈদের জন্য একটি সাত পর্বের ধারাবাহিক ও একটি সিঙ্গেল নাটকের শুটিং করছেন। নাটক দুটি নির্মাণ করছেন তুহিন হোসেন। নাটকগুলো প্রসঙ্গে এ অভিনেতা বলেন, এখানে ঈদের জন্য একটি সিঙ্গেল নাটকে অভিনয় করছি। এতে আমাকে প্রথমবারের মতো মহাজন চরিত্রে দর্শক দেখতে পাবেন। জেলে সম্প্রদায়ের গল্প নিয়ে নাটকটি নির্মাণ হচ্ছে। আর সাত পর্বের ধারাবাহিকটিতে আমাকে সাধারণত যেমন চরিত্রে দেখা যায় তেমন ভাবেই থাকবো। এদিকে এই অভিনেতা বর্তমানে ‘জায়গীর মাস্টার’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। এটি বাংলাভিশনে প্রচার হচ্ছে। দর্শকের মধ্যেও নাটকটি বেশ সাড়া ফেলেছে। চ্যানেল আইয়ে প্রচার হচ্ছে তার নির্মিত ‘প্রিয় দিন প্রিয় রাত’ শিরোনামের আরো একটি ধারাবাহিক। এ ধারাবাহিকটি প্রচার শেষ হলে নতুন নাটক নির্মাণ শুরু করবেন বলে জানান তিনি। ‘মোল্লাবাড়ির বউ’ সিনেমাখ্যাত এ নির্মাতা নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণের কথাও জানান। আসছে ২০২০ সালে নতুন এটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন তিনি। এ অভিনেতাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘সাপলুডু’ চলচ্চিত্রে। এটি নির্মাণ করেছেন গোলাম সোহরাব দোদুল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর