জ্যোৎস্না বিশ্বাস, স্বনামেই পরিচিত। এই দেশের যাত্রা শিল্পের সম্রাজ্ঞী তিনি। তার স্বামী স্বর্গীয় অমলেন্দু বিশ্বাস ছিলেন এই দেশের যাত্রা শিল্পের সম্রাট। ১৯৮৯ সালে অমলেন্দু বিশ্বাসকে একুশে পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়। আর জোৎস্না বিশ্বাস একুশে পদক পান ২০১১ সালে। দু’জনকেই যাত্রা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এ পদকে ভূষিত করা হয়। নাট্যদল নাগরিক নাট্যসম্প্রদায় এবার জোৎস্না বিশ্বাসকে যাত্রায় তার সারাজীবনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘নাগরিক নাট্যসম্প্রদায় সম্মাননা’য় ভূষিত করতে যাচ্ছে। আজ শিল্পকলা একাডেমিতে জ্যোৎস্না বিশ্বাসের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেয়া হবে।
দেশের একটি বড় নাট্যদল থেকে এই সম্মাননা প্রাপ্তিকে অনেক বড় অর্জন হিসেবেই দেখছেন জ্যোৎস্না বিশ্বাস। তিনি বলেন, এর আগে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে একুশে পদকসহ আরো বহু সংগঠন কর্তৃক আজীবন সম্মাননাসহ নানা ধরনের সম্মাননায় ভূষিত হয়েছি। তবে কোনো নাট্যদল কর্র্তৃক সম্মাননা প্রাপ্তি এবারই প্রথম। আয়োজকদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি এই কারণে যে, আরো বেশ কয়েকজন প্রথিতযশা নাট্য ব্যক্তিত্বও একই সম্মাননায় ভূষিত হবেন। এটা আমার জন্য সত্যিই অনেক অনেক ভালোলাগার।