× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডিএপি সারের দাম কমেছে কেজিতে ৯ টাকা

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৫ ডিসেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

কৃষকের স্বার্থে ফসলের উৎপাদন ব্যয় কমাতে ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের দাম প্রতি কেজিতে ৯ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। গতকাল সচিবালয়ে সারের মূল্য হ্রাসের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস ও ডিএপি সারের ব্যবহার বৃদ্ধিসহ উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে দেয়া প্রস্তাবটি সমপ্রতি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন।  ডিএপি সারের দাম কেজি প্রতি ৯ টাকা কমিয়ে ডিলার পর্যায়ে ১৪ টাকা ও কৃষক পর্যায়ে ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হলো। এজন্য প্রতি কেজি সারে ২৪ টাকা ধরে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। এখন দেশে বছরে ৪ থেকে ৫ লাখ টন ডিএপি সারের চাহিদা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দাম কমানোর ফলে ডিএপি সারের ব্যবহার আরো বাড়বে; উৎপাদন খরচও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে। ডিএপি সারে ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন এবং টিএসপি সারের সমপরিমাণ ফসফেট রয়েছে। এ সার প্রয়োগে ইউরিয়া এবং টিএসপি সারের সুফল পাওয়া যায়। এ সার প্রয়োগে গাছ শক্তিশালী হয়, ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও ফসল পুষ্ট হয় জানিয়ে এই কৃষিবিদ বলেন, ফলে কীটনাশকের ব্যবহার ও আমদানি কমে যাবে।
প্রতিবছর সারের জন্য সরকারকে সর্বমোট ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয় বলে তিনি জানান। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে কি না, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কাঁচাবাজার যেটা পচনশীল, চাল ছাড়া বেশিরভাগই পচনশীল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা এই র‌্যাব-পুলিশ দিয়ে কোন দিনই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। এটা মার্কেট ফোর্স এবং বাজারের যে শক্তি সেটাই নিয়ন্ত্রণ করবে। বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইল তিনি বলেন, এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া খুব কঠিন। সব জিনিসের দাম বেড়েছে এটা ঠিক না। ভোজ্যতেলের দাম বাড়েনি, সব কিছুই সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে। পিয়াজটাই একটা অসহনশীল পর্যায়ে কোন ক্রমেই এ দাম গ্রহণযোগ্য নয়। বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আলুর দাম বেড়েছে, আমি চাই আলুর দাম আরও বাড়ুক। এক কোটি ১০ লাখ টন আলু হয়েছে আমাদের, দরকার ৭০ থেকে ৮০ লাখ টন। দাম বেশি না হলে সামনের বছর আলু চাষ হবে না। বাজারে যে দামে খাদ্যপণ্য কিনতে হয়, তার ধারেকাছের দাম কৃষক পাচ্ছেন না কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সারের বেনিফিট পুরো কৃষক পাবে। বাজারে শাক সবজির যে দাম বেশি এগুলোর অনেকগুলোর কারণ রয়েছে। পরিবহন খরচ অস্বাভাবিকভাবে বেশি, পচনশীল, ফার্মগেট প্রাইজ ও কনজুমার প্রাইজ পার্থক্য হবে, কিন্তু এই মুহূর্তে একুট বেশি। চালের বাজার নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মোটা চাল ওএমএসে বিক্রি হয় না, ডিলাররা নিচ্ছে না, মোটা চালের দাম এক টাকাও বাড়েনি। ভিজিএফ’র চাল দেয়া হলেও পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে, পরে চিকন চাল কিনছে। সরু চাল যারা অ্যাফোর্ট করতে পারে বেশি দাম হলে অসুবিধা কী? এসময় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর