সিলেটের ওসমানীনগরে বুরুঙ্গা ইকবাল আহমদ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নতুন কমিটি গঠনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ১লা ডিসেম্বর ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, বর্তমান গভর্নিং বডি, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী শতাধিক লোক স্বাক্ষরিত দুটি অভিযোগপত্র সিলেটের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। গত ৩রা ডিসেম্বর অনুরূপ অভিযোগে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বরাবর আরেকটি অভিযোগ দেয়া হয়। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়। গত ৩রা ডিসেম্বর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বরাবর বুরুঙ্গা ইকবাল আহমদ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পৃথক আরেকটি লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করা হয়। অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম সরকারি গঠনতন্ত্রের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গভর্নিং বডির সভাপতির মনোনয়নের জন্য একটি প্রস্তাবনা সিলেট শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করেন। এ ক্ষেত্রে নবনির্বাচিত সকল সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজনের মতামত নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে গভর্নিং বডির সভাপতি সাদিক আহমদের আহ্বানে ৩০শে নভেম্বর প্রতিষ্ঠানের হলরুমে সভা আহ্বান করা হলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সভায় অনুপস্থিত থাকেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এমজি রাসুল খালেক বলেন, বুরুঙ্গা ইকবাল আহমদ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নতুন সভাপতির নাম প্রস্তাব করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একটি প্রস্তাবনা সিলেট শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করেছেন। এ ক্ষেত্রে বর্তমান গভর্নিং বডি, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি বা এলাকার সচেতন মহল কারো মতামত নেয়া হয়নি। বিষয়টি জানার পর মাইকিং করে ও ব্যক্তিগত যোগাযোগ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ সবাইকে নিয়ে গত ৩০শে নভেম্বর সভা আহ্বান করা হলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সে সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুর ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সভাপতি পদের জন্য প্রস্তাবনা প্রেরণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এক্ষেত্রে যাদের মতামত নেয়ার প্রয়োজন ছিল তা নেয়া হয়েছে।